—প্রতীকী চিত্র।
রাজধানীতে আবার গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা। এ বার ঘটনাস্থল উত্তর-পূর্ব দিল্লি। চোর সন্দেহে এক মুসলমান যুবককে পিটিয়ে মেরা ফেলার অভিযোগ উঠল এক দল উন্মত্ত জনতার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম ইসরার আহমেদ। ২৬ বছরের ইসরারকে নন্দ নগরি এলাকায় একটি খুঁটিতে বাঁধেন কয়েক জন। এর পর তাঁকে লাঠি নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে ওই মারধরের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, যে যুবককে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে, তিনি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। কাতর আবেদন করছেন, তাঁকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কেউ সেই আকুতিতে কান দিচ্ছেন না কেউ। বরং মারধর আরও বেড়ে চলে। মৃতের বাবা আব্দুল ওয়াজিদ পুলিশকে জানান, তাঁর ছেলেকে মরণাপন্ন অবস্থায় এক প্রতিবেশী বাড়ি পৌঁছে দেন। তাঁর মুখেই গোটা ঘটনার কথা শোনেন তিনি। ছেলের সারা শরীরে মারধরের গভীর ক্ষত ছিল। বাড়িতে নিয়ে আসার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ছেলের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগই আর পাননি তাঁরা বলে পুলিশকে জানিয়েছেন আব্দুল।
পুলিশের দাবি, এই ঘটনার পিছনে কোনও সাম্প্রদায়িক রং নেই। ইসরারকে যাঁরা বেঁধে মারধর করছিলেন, তাঁদের মধ্য বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর মানুষ ছিলেন। তাঁরা সবাই সন্দেহের বশে এক জনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন। অভিযুক্তদের সবাইকেই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু হয়েছে।