পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
আবার জামিনের আবেদন খারিজ হল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি বার বার একই আবেদন করায় প্রাক্তন মন্ত্রীর উপর অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারক। পার্থকে আর্থিক জরিমানা করলেন তিনি।
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে ২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার করে ইডি। ২৩ জুলাই রাতে গ্রেফতার হওয়ার ১৩ মাস পর জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পার্থ। কিন্তু ইডি সেই জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে পাল্টা আবেদন করে হাই কোর্টে। সম্প্রতি নিয়োগ মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা চার্জশিটে অনুমোদন পেয়েছে সিবিআই। তাদের চার্জশিটে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চার্জশিট গ্রহণের আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। বস্তুত, গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগের মামলায় পার্থের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। পার্থই এই মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত। কিন্তু সিবিআইয়ের সেই চার্জশিট আদালতে গ্রহণ করা যায়নি। এ ক্ষেত্রে নিয়ম হল, চার্জশিটে রাজ্যপালের অনুমোদন না মিললে আদালত তা গ্রহণ করে বিচারপ্রক্রিয়া এগোতে পারে না। পার্থের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিলেও তাই তদন্ত ঝুলেই ছিল এত দিন। চার্জশিটে অনুমোদনের জন্য সিবিআইয়ের তরফে রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানানো হয়।
এই অবস্থায় শনিবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আবারও জামিনের আবেদন করেন পার্থ। বার বার চার্জশিটও দেখতে চান তিনি। কিন্তু তা গ্রাহ্য হয়নি। পাশাপাশি তাঁর জামিনের আবেদনও খারিজ হয়ে যায়। প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রীকে ১,০০০ টাকা জরিমান করে আদালত।
আপাতত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার পার্থের ঠিকানা। নিম্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ইডি এবং সিবিআইয়ের আনা অভিযোগের শুনানিও চলছে। ইতিমধ্যে সেখানেও বহুবার জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ। সম্প্রতি দিল্লি থেকে পার্থের হয়ে সওয়াল করতে এসেছিলেন ইডিরই এক প্রাক্তন আইনজীবী। পার্থের দাবি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কও নেই। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। হাই কোর্টেও এই একই আর্জি নিয়ে মামলা করেছেন পার্থ। আগামী ১১ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।