— প্রতীকী ছবি।
গত মঙ্গলবার দিল্লির সদর বাজারে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতকে খুন করার জন্য ভাড়া করা হয়েছিল। এবং ভাড়া করেছিলেন মৃত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ বন্ধু মহম্মদ আমির। প্রেমঘটিত ব্যাপারের জেরেই এই ঘটনা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সুলতানপুরির বাসিন্দা ৩২ বছরের মহম্মদ সমীরের ভাল বন্ধু আমির। কিন্তু পুলিশের দাবি, সেই বন্ধুকেই খুন করতে খুনি ভাড়া করেছিলেন আমির। জানা গিয়েছে, বন্ধু সমীরের স্ত্রীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন আমির। পথের কাঁটা বন্ধুকে সরাতে আমির ভাড়া করেন একজন ভাড়াটে খুনিকে। গত ১ অগস্ট, সেই মহম্মদ রিজওয়ানই গলা কেটে খুন করেন সমীরকে।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১ অগস্ট ফোন আসে, রাস্তায় একটি গলাকাটা দেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। জানা যায়, খুন হয়েছেন সুলতানপুরির বাসিন্দা সমীর। দেহের পাশ থেকে একটি ভাঙা মদের বোতলও উদ্ধার করে পুলিশ। খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ।
পেশায় দর্জি আমির নিজেও বিবাহিত। তাঁর একটি সন্তান আছে। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা নেই। সন্তানকে নিয়ে অন্যত্র থাকেন তাঁর স্ত্রী। একাই থাকতেন আমির। মহিলাসঙ্গের ইতিহাসও রয়েছে তাঁর। এ হেন আমির বন্ধুকে সরাতে টাকা দিয়ে ভাড়া করেন রিজওয়ানকে। পুলিশ সূত্রে খবর, রিজওয়ান খুন করার পর রক্তমাখা জামাকাপড় যমুনার জলে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। পুলিশ তা-ও উদ্ধার করেছে। রিজওয়ানকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে পুরো ঘটনা। এর পর গ্রেফতার হন আমির।
জানা গিয়েছে, সমীরের স্ত্রী একটি নার্সিংহোমে চাকরি করেন। কিন্তু সমীর বেকার। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমাঝেই ঝগড়া হত। তারই সুযোগ নিতে চেয়েছিলেন আমির। কিন্তু তা করতে গিয়ে নিজেই ধরা পড়ে গেলেন বন্ধুর খুনের ঘটনায়।