—প্রতীকী ছবি।
কথা না শোনায় ৭০ হাজার টাকায় কেনা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুধু খুন করাই নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ জঙ্গলে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ফতেপুর বেরি অঞ্চলে। খুন এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে, মৃত মহিলার স্বামী-সহ মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে ফতেপুর বেরি অঞ্চলের ঝিল খুর্দ সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গল থেকে একটি দেহ উদ্ধার করে তারা। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই অঞ্চলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার গভীর রাতে একটি অটোকে ওই অঞ্চলে রহস্যজনক ভাবে ঘুরতে দেখা যায়। অটোর নম্বরটি শনাক্ত করে অটোচালক অরুণকে দিল্লির ছতরপুর অঞ্চল থেকে আটক করে পুলিশ। তার বয়ানের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের সন্ধান পায় তারা।
অরুণ জানান, মৃত মহিলার নাম সুইটি। তাঁকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে বিয়ে করেছিলেন ধর্মবীর। কিন্তু কিছু দিন আগে নাকি সুইটি স্বামীকে না জানিয়েই বাড়ি ছেড়ে চলে যান। পরে ফিরে আসলেও তাঁর ব্যবহারে রুষ্ট ছিলেন ধর্মবীর। ওই অটোচালক জানান, পরিকল্পনামাফিক স্ত্রীকে খুন করে দেহ জঙ্গলে ফেলে দেন ধর্মবীর।
দিল্লি পুলশের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) চন্দন চৌধরী জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় অনেকেই শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। গত বছর দিল্লিতেই একত্রবাসের সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আফতাব আমিন পুনাওয়ালা নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।