Delhi hit and run

‘গাড়ির নীচে তরুণী চাপা পড়েছে, বুঝেও থামাইনি, কারণ…’, পুলিশি জেরায় স্বীকার অভিযুক্তদের

পুলিশের জেরায় তাঁরা জানিয়েছেন, গাড়ির চাকায় যে তরুণী পা আটকে পড়েছিল, তা বুঝতে পেরেছিলেন তাঁরা। প্রশ্ন উঠছে, তার পরেও কেন গাড়ি থামাননি তাঁরা?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪১
Share:

বর্ষবরণের রাতে অঞ্জলির স্কুটিতে ধাক্কা দেয় একটি মারুতি ব্যালেনো গাড়ি। — ফাইল ছবি।

দিল্লি দুর্ঘটনায় নিহত অঞ্জলির বন্ধু নিধি দাবি করেছিলেন, গাড়ির সওয়ারিরা তরুণীর চিৎকার শুনতে পেরেছিলেন। তার পরেও গাড়ি থামাননি অভিযুক্তেরা। এ বার সেই অভিযোগ এক প্রকার স্বীকারই করে নিলেন অভিযুক্তেরা। পুলিশের জেরায় তাঁরা জানিয়েছেন, গাড়ির চাকায় যে তরুণী পা আটকে পড়েছিল, তা বুঝতে পেরেছিলেন তাঁরা। প্রশ্ন উঠছে, তার পরেও কেন গাড়ি থামাননি তাঁরা? সেই জবাবও পুলিশকে দিয়েছেন অভিযুক্তেরা।

Advertisement

বর্ষবরণের রাতে অঞ্জলির স্কুটিতে ধাক্কা দেয় একটি মারুতি ব্যালেনো গাড়ি। সেই ঘাতক গাড়িতে ছিলেন চার জন সওয়ারি। তদন্তে নেমে জেনেছে পুলিশ। অভিযুক্তের পুলিশকে জানিয়েছেন, তরুণী গাড়িতে চাপা পড়েছেন বুঝেও তা থামাননি তাঁরা। কারণ, ভয় পেয়েছিলেন। আশঙ্কা করেছিলেন, গাড়ি থামিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করলে তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হবে। সে কারণেই সুলতানপুর থেকে অঞ্জলিকে ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিল সেই গাড়ি। শেষ পর্যন্ত দিল্লির খাঞ্জাওয়ালার ২০ বছরের অঞ্জলির নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর চামড়া উঠে গিয়েছিল। দেহে ছিল একাধিক আঘাত। ভেঙে গিয়েছিল হাড়, খুলির একাংশ। মাথার ঘিলুর অংশও মেলেনি।

অঞ্জলির পরিবার দাবি করেছিল, ধর্ষণ হয়েছে তাঁর। পুলিশ সেই দাবি উড়িয়ে দেয়। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও সেই দাবি খারিজ হয়ে যায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সাত জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করেছিল, ১ জানুয়ারি রাতে ওই ঘাতক গাড়িতে ছিলেন পাঁচ জন। পরে জানা যায়, গাড়িতে ছিলেন চার জন। তাঁদের দোষ চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বাকি তিন জন। গাড়িতে সওয়ার চার জনের মধ্যে ছিলেন স্থানীয় এক বিজেপি নেতা। নাম মনোজ মিত্তল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement