অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। মঙ্গলবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন শুনবে আদালত। বিচারপতি নীনা বনশল কৃষ্ণের বেঞ্চে কেজরীওয়ালের মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে। গত ২৬ জুন রাউস অ্যাভিনিউ আদালত থেকে কেজরীর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবারই ওই মামলা দায়ের করা হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টে।
দিল্লির আবগারি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ন’বার কেজরীওয়ালকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু এক বারও তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেননি। এর পর আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। পরে লোকসভা ভোটের আগে প্রচারের জন্য তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হলে আবার তিনি তিহাড় জেলে ফিরে গিয়েছিলেন।
দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরীর স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। ইডির তরফে বৃহস্পতিবার কেজরীর জামিন ৪৮ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হলেও বিচারক ন্যায় বিন্দু এক লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেছিল ওই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেই রায়কে দিল্লি হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল ইডি।
দিল্লি হাই কোর্টে ইডির তরফে অভিযোগ করা হয়, ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ)-এর ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী জামিনের বিরোধিতা করে জমা দেওয়া নথিগুলির যথাযথ ভাবে বিবেচনা করার কথা ছিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের। কিন্তু বিচারক বিন্দু তা করেননি। গত ২৫ জুন ইডির আবেদন মেনে বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চ কেজরীর জামিন খারিজ করে দেয়। এর পরে তিহাড় জেলবন্দি কেজরীকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের অনুমোদনে হেফাজতে নেয় আবগারি মামলার আর এক তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই।
প্রাথমিক ভাবে তিন দিনের হেফাজত শেষ হওয়ার পর কেজরীকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে চেয়েছিল সিবিআই। গত শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আবেদন মঞ্জুর করে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আগামী ১২ জুলাই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে ওই দিনই দুপুর ২টো নাগাদ জেল থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আবার কেজরীকে আদালতে হাজির করানো হবে বলে সূত্রের খবর। তারই মঙ্গলবার শুনানি হবে আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধানের আবেদনের।