—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অবিভক্ত হিন্দু পরিবারের ‘কর্তা’ বা প্রধান হতে পারেন মহিলারাও। পুরুষকেই পরিবারের প্রধান হিসাবে মান্যতা দিতে হবে, তার কোনও মানে নেই। আইনও এ ক্ষেত্রে পুরুষ এবং মহিলাকে আলাদা চোখে দেখে না। একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।
হাই কোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং বিচারপতি নীনা বনসল কৃষ্ণর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সমাজ কী ভাবছে, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি কী, তা আইনের মাপকাঠি হতে পারে না। তার জন্য আইন বদলাতে পারে না। ভারতের আইনসভা, এমনকি হিন্দু আইনেও মহিলাদের পরিবারের প্রধান বা ‘কর্তা’ হিসাবে স্বীকৃতি দিতে কোনও বাধা নেই।
২০১৬ সালে দিল্লি হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ পরিবারে নারী এবং পুরুষের গুরুত্ব প্রসঙ্গে যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল। জানানো হয়েছিল, উত্তরাধিকারের বিষয়ে নারী এবং পুরুষ সমান গুরুত্বের অধিকারী। সেই রায়কেই বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চও। এ প্রসঙ্গে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির একটি মন্তব্যও উল্লেখ করেছে উচ্চ আদালত।
২০০৫ সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের নীতিগুলি উল্লেখ করে যুক্তি দিয়ে মহিলার পরিবারের কর্তা হওয়ার বিষয়টি বুঝিয়েছেন বিচারপতিরা। যে মহিলার মামলায় আদালতের এই পর্যবেক্ষণ, তাঁর নাম সুজাতা। তাঁকে পরিবারের কর্তা করায় আপত্তি তুলেছিলেন তাঁর ভাইয়েরা। তাঁদের আপত্তি নাকচ করে দিয়েছে আদালত। ওই মহিলার স্বামীকেও পরিবারের কর্তা হিসাবে ঘোষণা করতে অস্বীকার করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।