কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়ে কিছু মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। যার প্রতিবাদে গত বুধবার তাঁর বাসভবনে তাণ্ডব চালায় বিজেপির যুব মোর্চা।
ফাইল চিত্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বাড়িতে গেরুয়া বাহিনীর তাণ্ডবের ঘটনায় পুলিশকে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট। পরবর্তী শুনানির দিনই তা জমা করতে হবে। পাশাপাশি ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে কী ভাবে বিক্ষোভকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের এত কাছে পৌঁছে গেল পুলিশের কাছে তারও কারণ জানতে চেয়েছে আদালত।
বিতর্কের শুরু ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে কেজরীর করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়ে কিছু মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। যার প্রতিবাদে গত বুধবার তাঁর বাসভবনে তাণ্ডব চালায় বিজেপির যুব মোর্চা। নেতৃত্বে ছিলেন যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তাবেষ্টনী টপকে হুজ্জুতি চালায় দলের কমপক্ষে দু’শো জন সমর্থক। ভাঙচুর করা হয় সিসিটিভি ক্যামেরা। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে উপস্থিত পুলিশের বিরুদ্ধে।
এই প্রেক্ষিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ। এই ঘটনায় তদন্ত কতটা এগিয়েছে তা নিয়ে এ দিন পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। এ দিন মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ভিপিন সাঙ্ঘি এবং বিচারপতি নবীন চাওলার ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘ভিডিয়োয় অশান্ত জনতার ভিড় দেখা গিয়েছে। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে। ... আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে তা স্পষ্ট।’’ ওই হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আট জন গ্রেফতার হয়েছে।
অন্য দিকে আজ তিন দিনের সফরে দিল্লি এসে পৌঁছেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। এ দিন দিল্লির এক সরকারি স্কুলে যান তিনি। পূর্ব দিল্লির ‘রাজকীয় সর্বোদয়া বাল বিদ্যালয়’ নামে ওই স্কুলে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন কেজরীওয়াল স্বয়ং। ছিলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াও। স্কুলের পাশাপাশি একটি ‘মহল্লা ক্লিনিক’-এও যান স্ট্যালিন।
এই প্রসঙ্গে টুইটে স্ট্যালিন লেখেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার সঙ্গে দিল্লি সরকারের উদ্যোগে তৈরি মডেল স্কুল এবং মহল্লা ক্লিনিক ঘুরে দেখলাম। চেন্নাইতেও আমরা খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বমানের সরকারি স্কুল তৈরি করব। অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে আগে থেকেই সেখানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছি।’’ এই সফরের রাজনৈতিক পরিণতি কী হতে চলেছে তা জানতে চাওয়া হলে প্রসঙ্গটি সন্তর্পণে এড়িয়ে স্ট্যালিন বলেন, ‘‘এর মধ্যে কোনও রাজনীতি দেখবেন না দয়া করে। দেশের উন্নতির স্বার্থেই আমরা এখানে এসেছি। সব রাজ্য জোটবদ্ধ হলে তবেই দেশের উন্নতি হবে।’’