মহুয়া মৈত্র। — ফাইল চিত্র।
আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাইয়ের করা মানহানির মামলায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে হাজিরার নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট। সমাজমাধ্যমে দেহাদ্রাইয়ের নামে অসম্মানজনক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে মহুয়ার বিরুদ্ধে। দেহাদ্রাইয়ের বক্তব্য, তিনি আদালতে আর্জি জানিয়েছেন, অসম্মানমূলক মন্তব্য যেন প্রত্যাহার করা হয়।
একটি সংবাদ সংস্থাকে দেহাদ্রাই বলেছেন, ‘‘মহুয়া মৈত্র আমার বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন। তার প্রেক্ষিতে আদালতে মহুয়া মৈত্র এবং কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছি। আজ সেই মামলার শুনানি ছিল। তাতে মহুয়া মৈত্রকে তলব করা হয়েছে। আমি চাই উনি আমার সম্পর্কে যে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন তা প্রত্যাহার করে নিন।’’
বিচারপতি প্রতীক জালানের এজলাসে আজ মামলার শুনানি হয়। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এই প্রকৃতির ক্ষেত্রে, আপনি (মৈত্র এবং দেহদ্রাই) উভয়ই পরস্পরের প্রতিপক্ষ। আপনি আক্রমণকারী নন, আক্রান্তও নন...।’’ আদালত মহুয়াকে বলেছে, অসম্মানজনক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মামলায় আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে বক্তব্য জানাতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ এপ্রিল।
আজকের মামলার প্রেক্ষিতে মহুয়া এক্স হ্যান্ডলে কটাক্ষ, ‘এই হেনস্থা আমার নির্বাচনে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়াবে। বিজেপি দয়া করে আমার বিরুদ্ধে দ্রুত প্রার্থী দিক’।
কৃষ্ণনগরে আজ মহুয়াকে আক্রমণ শানিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘লোকপাল সিবিআইকে বলেছেন ফৌজদারি তদন্ত করতে। ফলে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে সংসদের পাসওয়ার্ড বিদেশে পাচার করেছেন ছোট ছোট উপহার নেওয়ার নাম করে। এখনও যদি করিমপুরে ওঁর বাড়িতে যান দেখবেন ঢাকা দেওয়া একটা গাড়ি আছে। সে গাড়িটা কার আপনি পেয়ে যাবেন। লোকপাল একটি নিরপেক্ষ সাংবিধানিক সংস্থা, তাঁরা নথি বিচার করে সুপারিশ করেছেন। বিজেপি, এই রাজ্যের মানুষ বিশেষ করে কৃষ্ণনগরের জনগণ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে।’’