Lesbian Couple

কাউন্সেলিংয়ের পরও সম্পর্ক মানতে নারাজ বাবা-মা, সমকামী যুগলকে ‘মেলাল’ দিল্লি হাই কোর্ট

মেয়ে সমকামী জানার পর তীব্র আপত্তি তুলেছিলেন বাবা-মা। সংশ্লিষ্ট মামলায় এর আগে আদালত একটি নির্দেশে জানায় সমকাম যে কোনও ‘অসুখ’ নয়, এ ব্যাপারে ওই দম্পতির কাউন্সেলিং করাতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৩৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মেয়ে সমকামী। সে আর এক জন মেয়ের সঙ্গে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমনটা মোটেই মেনে নিতে পারেননি বাবা-মা। আদালত ওই বাবা-মায়ের কাউন্সেলিংয়ের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তার পরও সমলিঙ্গের প্রতি প্রেমের সম্পর্ক মানতে তাঁরা অপারগ। যদিও তার পরেও এক সমকামী জুটিকে এক সঙ্গে থাকার ব্যাপারে নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট। বিচারপতি সুরেশকুমার কাইত এবং বিচারপতি নীনা বনসলের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বাবা-মা যে মেয়ের সম্পর্ক মেনে নিতে পারছেন না, সেই তরুণী সাবালিকা। তাঁর বয়স ২২ বছর। তরুণীর ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ আছে। নিজের পছন্দের মানুষের সঙ্গে বাঁচার অধিকার রয়েছে।

Advertisement

মেয়ে সমকামী জানার পর তীব্র আপত্তি তুলেছিলেন বাবা-মা। সংশ্লিষ্ট মামলায় এর আগে আদালত একটি নির্দেশে জানায় সমকাম যে কোনও ‘অসুখ’ নয়, এ ব্যাপারে ওই দম্পতির কাউন্সেলিং করাতে হবে। কিন্তু তার পরও তাঁদের মেয়ের সঙ্গে আর এক মেয়ের সম্পর্ক কোনও ভাবেই গ্রহণ করতে পারেননি ওই বাবা-মা। এই প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছে, ওই সমকামী যুগল এই সমাজেই থাকতে পারেন। তাঁরা এক সঙ্গেই থাকবেন। হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণে বলে, ‘‘ওই যুগলের নিজেদের পছন্দের জীবন যাপন করার অধিকার আছে। তাঁদের অভিরুচি মাফিক তাঁরা থাকতে পারেন। পরিবার-পরিজন হোন বা বাইরের কেউ, জোর খাটিয়ে বা চাপ দিয়ে ওই যুগলকে আলাদা করতে পারেন না।’’

সঙ্গীর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন অপর তরুণী। আদালতে তিনি জানান, বাবা-মায়ের জন্য তাঁর সঙ্গী পছন্দের মানুষের সঙ্গে থাকতে পারছেন না। এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মামলায় গত ২২ অগস্ট হাই কোর্ট রায় দেয়, মেয়ের ‘ইচ্ছে’ বোঝার জন্য ওই বাবা-মায়ের কাউন্সেলিং করানো হোক। পাশাপাশি ওই তরুণীকেও কাউন্সেলিং করানোর কথা বলে আদালত। কিন্তু ২৯ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানিতে ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, তাঁদের মেয়েকে ক্রমাগত ভুল বোঝাচ্ছেন তাঁর ‘সঙ্গী’। তা ছাড়া তাঁরা এ-ও জানা যে, সমকামের বিষয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু এই বিষয়টি তাঁরা মেনে নিতে অক্ষম। অন্য দিকে, ওই তরুণী জানান, তিনি কোনও ভাবেই সঙ্গীকে ছেড়ে বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যাবেন না। তিনি সঙ্গীর সঙ্গেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে আদালত রায় দিয়েছে, ওই যুগল নিজেদের পছন্দ মাফিক মানুষের সঙ্গে থাকতে পারবেন। এবং তাঁরা যাতে নিরাপদে থাকতে পারেন, তা দেখার জন্য স্থানীয় থানাকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement