Engineer Rashid

প্যারোলে মুক্তি নয়, জেলে থেকেই যাতায়াত করতে হবে সংসদে, রশিদকে বলল দিল্লি হাই কোর্ট

২০১৯ সাল থেকে এনআইএ-র মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলার সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রশিদ। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থ সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ১৭:৫৩
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

প্যারোলে মুক্তি পাবেন না। তবে তিহাড় জেলে বন্দি জম্মু ও কাশ্মীরের সাংসদ আব্দুল রশিদ শেখ ওরফে ইঞ্জিনিয়ার রশিদ লোকসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শেষ এক সপ্তাহ যোগ দিতে পারবেন। এই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।

Advertisement

আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব চলবে। আদালত জানিয়েছে, প্রতি দিন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য জেল থেকে সংসদ ভবনে যেতে পারবেন রশিদ। অধিবেশন শেষ হলে আবার তাঁকে জেলেই ফেরত আসতে হবে। বিচারপতি চন্দ্রধারী সিংহ এবং বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভম্ভানীর বেঞ্চ দিল্লির কারা বিভাগের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতি দিন যেন সাদা পোশাকের পুলিশি প্রহরায় রশিদের সংসদ ভবনে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়।

দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, সংসদ অধিবেশনে যোগদানের জন্য বাইরে থাকাকালীন, রশিদ কোনও মোবাইল, ল্যান্ডফোন, ইন্টারনেট বা অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবেন না। কথা বলতে পারবেন না সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। পুলিশ তাঁকে সংসদ ভবনে নিয়ে গিয়ে মার্শালের হেফাজতে তুলে দেবে। অধিবেশন শেষে আবার মার্শালের কাছ থেকে নিয়ে জেলে পৌঁছে দেবে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) হাই কোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, সংসদের অধিবেশনে যোগদানের সুযোগ নিয়ে রশিদ পালিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু তা সরাসরি খারিজ করে দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, ‘এমন আশঙ্কা পুরোপুরি অমূলক’।

Advertisement

সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে যোগদানের জন্য প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়ে এর আগে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বারামুলার সাংসদ রশিদ। কিন্তু গত ১০ মার্চ তা খারিজ করে দেন দিল্লির অতিরিক্ত দায়রা বিচারক চন্দরজিৎ সিংহ। এর পরে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে এনআইএ-র মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন রশিদ। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থ সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে। জেলবন্দি অবস্থাতেই গত বছর বারামুলা লোকসভা কেন্দ্রে ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রার্থী তথা জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে দু’লক্ষেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন নির্দল প্রার্থী রশিদ।

গত বছর জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটের আগে ‘আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা রশিদকে প্রচারের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল আদালত। বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বেও দিল্লি হাই কোর্ট তাঁর প্যারোলে মুক্তির আর্জি মঞ্জুর করেছিল। এর পরেই জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির পিডিডি অভিযোগ তুলেছিল, গোপনে বিজেপির সঙ্গে গোপন বোঝাপড়া করেছেন রশিদ। তাই বার বার মুক্তি পাচ্ছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement