ছবি এএফপি।
কোভিড সেরে গিয়েছে, তবু হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। অভিযোগ উঠেছে, সুস্থ হওয়া সত্ত্বেও বহু আবাসনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। অনেকে আবার করোনা ধরা পড়ার ভয়ে পরীক্ষা করাতে যাচ্ছেন না। সংক্রমিত হয়েছেন শুনে কেউ লাফ দিচ্ছেন বহুতল হাসপাতাল থেকে, কেউ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পালাচ্ছেন।
এই সমস্ত ঘটনার কথা মাথায় রেখেই করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীদের শংসাপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি সরকার। করোনা ছোঁয়াচে হতে পারে, কিন্তু তা যে অভিশাপ নয় এবং কোভিড-১৯ রোগীরা যে সমাজে ব্রাত্য নন— এই বার্তা দিতে মূলত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্যোগে শুরু হল শংসাপত্রের ব্যবস্থা। এই মডেল আগামী দিনে গোটা দেশে শুরু করার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষদের বাড়ি ফেরা-সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে গত কালই উদ্বেগ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কয়েক দিন ধরে সক্রিয় রয়েছেন অমিত। আজও মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। সব মিলিয়েই শংসাপত্রের ভাবনা। যা থাকলে এক দিকে যেমন প্লাজ়মা দান করা যাবে, তেমনই ওই শংসাপত্র দেখিয়ে ট্রেনে বা বিমানে সফর করা যাবে। দিল্লি সরকারের মতে, ওই শংসাপত্র থাকার অর্থ হল, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ‘এক সময়ে’ কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। তাঁর থেকে সংক্রমণের কোনও ভয় নেই।
আরও পড়ুন: আজ প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে থাকবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা