প্রতীকী ছবি।
আবার রাজধানীতে জ্বালানি কয়লার অভাব। যার ফলে বিঘ্নিত হতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবা। এমনকি, হাসপাতাল ও মেট্রো পরিষেবাও ব্যাহত হতে পারে। বৃহস্পতিবার এমন আশঙ্কাই প্রকাশ করেছে অরবিন্দ কেজরীবালের দিল্লি সরকার।
বৃহস্পতিবার দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে কী কী করা যায় তা নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়। দিল্লিতে পর্যাপ্ত কয়লা মজুদ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। পরে একটি বিবৃতিতে অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার জানায়, দাদরি-২, উঁচাহার বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন ঘাটতির ফলে জরুরি পরিষেবাতেও ব্যাঘাত হতে পারে। ২৪ ঘণ্টা হয়তো বিদ্যুৎ পরিষেবা না-ও মিলতে পারে। সেই তালিকায় রয়েছে দিল্লি মেট্রো এবং রাজধানীর সমস্ত সরকারি হাসপাতালও।
সরকারি সূত্রে খবর, আপাতত মোট চাহিদার মাত্র ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পূরণ হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে। কিন্তু সেখানেও কয়লার অভাব শুরু হয়েছে। সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে বলে জানান দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে হাসপাতাল, মেট্রোর মতো জরুরি পরিষেবার বিদ্যুৎ মেলে, সেগুলোয় পর্যাপ্ত উৎপাদন হচ্ছে না।
দাদরি-২, উঁচাহার, কহলগাঁও, ফরাক্কা ইত্যাদি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দিনে মোটামুটি ১,৭৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরিষেবা পায় দিল্লি। যার মধ্যে চাহিদার বেশির ভাগটাই পূরণ করে দাদরি-২। ‘ন্যাশনাল পাওয়ার পোর্টাল’ থেকে যে দৈনিক কয়লা জ্বালানি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়, সেখানেও বলা হয়েছে জ্বালানি সঙ্কট শুরু হয়েছে।