সোমবার মণীশ সিসৌদিয়াকে দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে হাজির করানো হল। ফাইল ছবি।
কড়া নিরাপত্তার মাঝে আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মণীশ সিসৌদিয়াকে আদালতে হাজির করাল সিবিআই। রবিবার গ্রেফতার হয়েছিলেন সিসৌদিয়া। সোমবার তাঁকে দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে হাজির করানো হল। তাঁকে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চাইল সিবিআই। সকালেই নিয়ম মেনে দিল্লিতে সিবিআইয়ের সদর দফতরে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেছেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী সিসৌদিয়ার গ্রেফতারির প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে আম আদমি পার্টি (আপ)। উত্তাল দিল্লিও। সেখানে ডিডিইউ মার্গে বিজেপির সদর দফতর মিছিল করে যাওয়ার চেষ্টা করে আপ। পুলিশ বাধা দিয়ে ব্যারিকেড দেয়। সেই ব্যারিকেড আপ কর্মীরা টপকানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সে কারণে রাজধানীর বিভিন্ন অংশে কড়া নিরাপত্তা জারি রয়েছে। দিল্লির পাশাপাশি বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, ভোপাল-সহ বিভিন্ন বড় শহরে জারি কড়া নিরাপত্তা। কলকাতা বিজেপির সদর দফতরের সামনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছে আপ।
টানা আট ঘণ্টা জেরার পর রবিবার আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে সিসৌদিয়াকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সারা রাত সিবিআইয়ের সদর দফতরেই ছিলেন আপ নেতা। এর আগে দিল্লির আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তিনি এখনও জেলে। হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারি নিয়ে সরব আপ। তারা এর নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে। আপের দাবি, রবিবার থেকে তাঁদের ৮০ শতাংশ নেতা দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। কাউকে আটক করে ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখা যায় না। আপের প্রশ্ন, তা হলে তাঁদের নেতাদের ছাড়া হচ্ছে না কেন?
আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল অভিযোগ করেছেন, অনেক সিবিআই কর্মী সিসৌদিয়াকে গ্রেফতারির বিরুদ্ধে ছিলেন। ‘রাজনৈতিক চাপ’-এর কারণে প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও সিসৌদিয়াকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে সিবিআই।