মহম্মদ জুবের। ফাইল চিত্র।
২০১৮ সালের বিতর্কিত টুইট মামলায় সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরের জামিনের আবেদনের রায়দান শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত রাখল দিল্লি একটি আদালত। অন্য দিকে, ধৃত জুবেরের তরফে ২০২১ সালে গোষ্ঠী-বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে দায়ের করা ছ’টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। ওই মামলায় ইতিমধ্যেই তাঁকে জামিন দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
‘হিন্দু শের সেনা’ নামে একটি সংগঠনের নেতা ভগবান শরন সীতাপুরে জুবেরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫-এ (ইচ্ছাকৃত এবং অসৎ উদ্দেশ্যে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা) এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৭ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট গত শুক্রবার সেই মামলায় খবরের সত্যতা যাচাই করার সংবাদমাধ্যম অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুবেরের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। কিন্তু ২০১৮-র বিতর্কিত টুইট মামলায় পটীয়ালা হাউস আদালত জামিন না দেওয়ার তিনি এখনও জেল হেফাজতে।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লির অতিরিক্ত দায়রা বিচারক দেবেন্দ্রকুমার জঙ্গলার এজলাসে আবেদন জানিয়েছিলেন জুবের। শুনানির পর বিচারক ২৪ ঘণ্টার জন্য রায়দান স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, বিতর্কিত টুইট মামলায় ২৬ জুন জুবেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনের (ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট বা এফসিআরএ) ৩৫ নম্বর ধারা অমান্যেরও অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ।
অভিযোগ, বিধি ভেঙে পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং সৌদি আরব থেকে আর্থিক অনুদান নিয়েছেন জুবের। যদিও অল্ট নিউজের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিজেপি নেত্রী (বর্তমানে সাসপেন্ডেড) নূপুর শর্মা যে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বিতর্কিত মন্তব্য করেন, তা জুবেরই প্রথম নেটমাধ্যমে প্রকাশ্যে এনেছিলেন। সীতাপুরের ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই জুবেরের বিরুদ্ধে ছ’টি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।