Arvind Kejriwal

কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে মামলায় বুধবারই রায়দান, ৫ বার সমন এড়ানোয় আদালতে গিয়েছিল ইডি

শুক্রবার পঞ্চম বারের জন্য কেজরীওয়ালকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু এ বারেও তিনি হাজিরা দিতে যাননি। জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই সমন বেআইনি। তাঁকে গ্রেফতার করাই মূল উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:০০
Share:

অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় পঞ্চম বারও ইডির সমন এড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আজ বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে আবগারি দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের অভিযোগের শুনানি রয়েছে। বিকাল ৪ টেয় এই মামলায় রায় দেবে আদালত।

Advertisement

বার বার সমন এড়ানোয় আপ সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিব্যা মলহোত্রর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তিনি ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানির দিন ধার্য করেন।

শুক্রবার কেজরীওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইডি। কিন্তু তিনি হাজিরা দিতে যাননি। জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই সমন বেআইনি। তাঁকে গ্রেফতার করাই মূল উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এর আগে ২ নভেম্বর, ২১ ডিসেম্বর, ৩ জানুয়ারি, ১৩ জানুয়ারি সমন পাঠানো হয়েছিল কেজরীওয়ালকে।

Advertisement

আপ নেতা জানিয়েছিলেন, মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের প্রচারে থাকার কারণে ২ নভেম্বর ইডির দফতরে হাজিরা দেননি তিনি। এর পর কখনও অন্য কাজ থাকার কথা, কখনও ১০ দিনের বিপাসনায় যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে সমন এড়িয়ে গিয়েছেন আম আদমি পার্টির প্রধান। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তাঁকে ‘বেআইনি ভাবে’ সমন পাঠানো হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা বিপক্ষের ‘কৌশল’ বলেও দাবি করেছেন তিনি। ইডির পদক্ষেপের নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক প্ররোচনা’ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। আপ অভিযোগ করেছে, তাদের নেতা যাতে লোকসভা ভোটের প্রচারে যেতে না পারেন, সে কারণে এ সব করা হচ্ছে।

গত বছর এপ্রিলে এই মামলায় কেজরীওয়ালকে ন’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। যদিও এই মামলায় তিনি অভিযুক্ত নন। সে সময় কেজরীওয়াল বলেছিলেন, ‘‘সিবিআই মোট ৫৬ টি প্রশ্ন করেছে। সব কিছু ভুয়ো। ভুয়ো মামলা। আমি নিশ্চিত, আমাদের বিরুদ্ধে ওদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই।’’ প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত আপের দুই প্রবীণ নেতা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ তিহাড় জেলে রয়েছেন। অভিযোগ, দিল্লি সরকারের ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা করে দিচ্ছিল। এই নীতি প্রণয়নের জন্য যাঁরা ঘুষ দিয়েছিলেন, তাঁদের সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছিল। আপ সরকার সেই অভিযোগ মানেনি। সেই নীতি যদিও পরে খারিজ করা হয়। সেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা।

অন্য দিকে, মঙ্গলবার সকালেই আপ নেতা তথা দিল্লি সরকারের মন্ত্রী অতিশী মারলেনা অভিযোগ করেন যে, অধিকাংশ তদন্তে সাক্ষীদের ‘অডিয়ো রেকর্ড’ সংবলিত বয়ান মুছে ফেলছে ইডি। এর মধ্যে দিল্লির আবগারি দুর্নীতির তদন্তও রয়েছে বলে জানান অতিশী। মঙ্গলবার অতিশী বলেন, “এক অভিযুক্ত তাঁর আবেদনে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে আনার কথা জানান। কারণ তিনি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে যা বলেছিলেন, আর আদালতে যা পেশ করা হয়েছে, সেই দু’টির মধ্যে ফারাক আছে। ইডি যে ফুটেজ দিয়েছে, তাতে কোনও অডিয়ো ছিল না।” ইডি সূত্রে খবর, আপের অভিযোগের পাল্টা কেজরীওয়ালের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement