দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে সাত দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন চেয়েছিলেন কেজরী। আদালত তাঁর আবেদনে সায় দেয়নি। কেজরীর শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য পৃথক নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।
দিল্লির আদালতে কেজরীর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিবেক জৈন। তিনি বিচারপতি কাবেরী বাবেজাকে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতিতে বিশেষ কিছু উদ্বেগের কারণ রয়েছে। তাঁর উপযুক্ত চিকিৎসা প্রয়োজন। একই সঙ্গে আইনজীবী আরও জানান, গত ২ জুন কেজরী যখন আত্মসমর্পণ করেন, তিহাড় জেলে তিন ধরনের যন্ত্রে তিন বার তাঁর ওজন মাপা হয়েছিল। তিন বারই পৃথক ওজন দেখা গিয়েছে। এই সমস্ত যুক্তি দিয়ে কেজরীর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু আদালত আবেদন খারিজ করেছে।
বিচারপতি জানিয়েছেন, শারীরিক সমস্যা থাকলে কেজরী আলাদা করে সে বিষয়ে আবেদন জমা দিতে পারেন। তখন তা বিবেচনা করে দেখা হবে।
‘আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে’ গত ২১ মার্চ কেজরীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। এর ফলে তিনিই দেশের ইতিহাসে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছেন। জেলে বসেই দিল্লির সরকার পরিচালনা করেছেন কেজরী। কিছু দিন আগে লোকসভা নির্বাচনের আবহে প্রচারের জন্য তাঁকে জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২১ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন তিনি। জেলের বাইরে বেরিয়ে প্রচারও করেছেন আপের হয়ে। তার পর ২ জুন আদালতের নির্দেশ মেনে আবার তিহাড় জেলে ফিরে গিয়েছেন। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শীর্ষ আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে। নিম্ন আদালতেও জামিনের মেয়াদ খারিজ হল কেজরীর।