পোষ্য সারমেয়র সঙ্গে নিবেদিতা ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।
পোষ্য কুকুরকে নয়ডার একটি বোর্ডিংয়ে রেখে বেড়াতে গিয়েছিলেন দিল্লির এক বাঙালি দম্পতি। ফিরে এসে যে পোষ্যকে আর জীবিত দেখতে পাবেন না, স্বপ্নেও ভাবেননি তাঁরা। দম্পতির পোষ্যের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি)। তাতে দেখা গিয়েছে, বাইকআরোহী দুই ব্যক্তি সারমেয়টিকে গলার বেল্ট ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছেন। দেখে বিস্মিত সারমেয়র মালিক। ওই বোর্ডিংয়ের মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাঁর কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন পোষ্যের মালিক।
পোষ্য মাইলোকে স্বাতী শর্মা নামে এক মহিলার বোর্ডিংয়ে রেখে বরোদায় ছেলের কাছে বেড়াতে গিয়েছিলেন নিবেদিতা ঘোষ এবং তাঁর স্বামী। নিবেদিতা জানিয়েছেন, তাঁদের দিল্লিতে ফিরে আসার আগের দিন ফোন করেন স্বাতী। তিনি জানান, মাইলোকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে চান তাঁরা। এর জন্য কোনও মূল্য দিতে হবে না। রাজি হয়ে যান নিবেদিতারা। পরের দিন দিল্লি ফেরার পর নিবেদিতাকে ওই বোর্ডিংয়ের তরফে জানানো হয়, তাঁর পোষ্য সারমেয় পালিয়ে গিয়েছে।
যে জায়গা থেকে সারমেয়টি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল, সেখানে গিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন নিবেদিতা। স্বাতীর বিরুদ্ধে থানা এফআইআর দায়ের করেন। এর পর স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, বাইকে চেপে দু’জন গলার বেল্ট ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন সেই সারমেয়কে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, বাইকে সওয়ার এক জন ছিলেন ওই বোর্ডিংয়ের কর্মী। অভিযোগ, মাঝ রাস্তায় কুকুরটিকে ছেড়ে দেন তাঁরা। সেটি পালিয়ে যায়। পরের দিন রাস্তা থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে কুকুরটির।
নিবেদিতার দাবি, সারমেয়টিকে রাখার জন্য প্রতি দিন তাঁদের থেকে ৬০০ টাকা করে নিয়েছেন বোর্ডিংয়ের মালিক স্বাতী। সেখানে রাখার সময় কুকুরটিকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। যদিও স্বাতী সেই অভিযোগ মানেননি। তিনি দাবি করেছেন, কুকুরটি প্রশিক্ষণের পর নিজের গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে আসছিলেন। তখন সেটি জানলা দিয়ে পালিয়ে যায়। কুকুরটিকে ধরে দেওয়ার জন্য ওই দুই ব্যক্তিকে অনুরোধ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক জন কুকুরটি ধরতে চেয়ে মারধরও করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত সেটি পালিয়ে যায় বলে দাবি স্বাতীর।