রাজঘাটে বিধায়কদের সঙ্গে কেজরীবাল। ছবি— পিটিআই।
দিল্লিতে সরকার ফেলতে ৮০০ কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপি। লক্ষ্য ৪০ জন আপ বিধায়ককে ‘কিনে’ সরকার ফেলে দেওয়া। বৃহস্পতিবার রাজঘাটে দাঁড়িয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
কেজরীবাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের তল্লাশির পর দিনই সিসৌদিয়ার কাছে প্রস্তাব এসেছিল আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার। ভাগ্যিস মণীশের মতো মানুষকে পাশে পেয়েছিলাম যাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনও মোহ নেই। আপ বিধায়করা মরে যাবেন, কিন্তু বিক্রি হবেন না। বিজেপি দিল্লিতে আমার সরকার ফেলার জন্য ৮০০ কোটি টাকা হাতে নিয়ে নেমেছে। ওদের লক্ষ্য ৪০ বিধায়ককে কিনে আমার সরকার ফেলে দেওয়া।’’
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপির ‘অপারেশন লোটাস’কে ব্যর্থ করে দেওয়ার দাবি করে আপ বিধায়করা জড়ো হয়েছিলেন মহাত্মা গাঁধীর সমাধিস্থলে।
আম আদমি পার্টির অভিযোগ, তাদের ৪০ জন বিধায়ককে নিশানা করেছে বিজেপি। তাদের প্রত্যেককে ২০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাবও এসেছে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে। কেজরীবালের বাসভবনে আপ বিধায়কদের বৈঠকে ১২ জন বিধায়ক দাবি করেছেন, তাদের কাছে বিজেপি প্রস্তাব দিয়েছিল আপ ভেঙে বেরিয়ে আসার।
কেজরীবালের বাসভবনে হাজির হয়েছিলেন মোট ৫৩ জন বিধায়ক। সাত জন বিধায়ক এই মুহূর্তে দিল্লিতে নেই। দিল্লি সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বর্তমানে জেলে। ওখলার বিধায়ক আমানুতুল্লা খান ফোনে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। জানিয়েছেন আপ মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ।
প্রত্যাশিত ভাবেই আপের সরকার ভাঙার চেষ্টার দাবি খারিজ করেছে বিজেপি। কেজরীবাল জনপ্রিয়তা কুড়োতে এই সব নাটক করছেন বলে মন্তব্য করেছেন দিল্লি বিজেপির এক শীর্ষ নেতা। যদিও আপ এত সহজে ময়দান ছাড়তে নারাজ। বিজেপিকে কোণঠাসা করতে শুক্রবার দিল্লি বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে আপ। সেখানে সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে বিজেপি যে ভাবে আপের নেতা, মন্ত্রীদের নিশানা করছে তা নিয়ে আলোচনা হবে।