Delhi Cafe Owner Death

দিল্লির ক্যাফে মালিকের আত্মহত্যার নেপথ্যে কি স্ত্রীর প্ররোচনা, আলোচনার কেন্দ্রে নারীবাদী পোস্ট

পুনীতের স্ত্রী মনিকার ওই পোস্টের পরেই নারীবাদীদের দুষতে শুরু করেছেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের একাংশ। কেউ কেউ আবার পক্ষ নিয়েছেন মনিকার। তবে বেশিরভাগই পুনীতের আত্মহত্যার জন্য তাঁর স্ত্রীকে দায়ী করছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:২৭
Share:

পুনীত ও তাঁর স্ত্রী। — ফাইল চিত্র।

স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার আত্মঘাতী হয়েছেন দিল্লির ক্যাফে মালিক পুনীত খুরানা। নিজের বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে তাঁর। সেই আবহেই এ বার প্রকাশ্যে এল পুনীতের মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে তাঁর স্ত্রীর করা একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। এর পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে নানা মহলে।

Advertisement

ছয় দিন আগে করা ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘এত দিন ধরে একটা ক্ষতিকর সম্পর্কে ছিলাম। নানা নির্যাতনও সয়েছি। এখন আমি মুক্ত!’’ পোস্টে নারীবাদ নিয়েও নানা কথা লিখেছেন পুনীতের স্ত্রী। লিখেছেন, ‘‘নারীবাদের মূলমন্ত্র হল একে অন্যকে সম্মান করা। কারও প্রতি জোর খাটানো, কিংবা কোনও মেয়েকে তার কথা বলার সুযোগ না দেওয়া আমার কাছে নারীবাদ নয়। বাড়ির পরিচারিকা থেকে শুরু করে রিকশাচালক, এমনকি এক জন শিশুও তার ন্যায্য সম্মান পাওয়ার দাবি রাখে। এক বার এক কাপুরুষ আমায় বলেছিল, সম্মান অর্জন করে নিতে হয়! কী হাস্যকর, না?’’ এর পরেই নারীবাদীদের দুষতে শুরু করেছেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের একাংশ। কেউ কেউ আবার পক্ষ নিয়েছেন পুনীতের স্ত্রীর।

সম্প্রতি ওই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। বিবাদও পৌঁছেছিল চরমে। চলছিল একে অপরকে দোষারোপের পর্ব। তার মাঝেই আত্মহত্যা করেন পুনীত। তাঁর মৃত্যুর পরেই তাঁর স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তাঁর পরিবার। ২০১৬ সালে মনিকা পাহওয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পুনীতের। যৌথ মালিকানায় তাঁরা একটি বেকারি সংস্থা চালাতেন। উডবক্স নামে একটি ক্যাফেরও মালিক ছিলেন ওই দম্পতি। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই বিষিয়ে ওঠে সম্পর্ক। বাধ্য হয়ে বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন দম্পতি। অভিযোগ, এখান থেকেই পুনীতের হয়রানির শুরু। ব্যবসায় লভ্যাংশের ভাগ চেয়ে দিনের পর দিন পুনীতকে তাঁর স্ত্রী এবং স্ত্রীর পরিবারের লোকজন হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ। পুনীতের বোন জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে তাঁর দাদাকে সরাসরি আত্মহত্যা করার কথাও বলেছিলেন স্ত্রী মনিকা!

Advertisement

৫৯ মিনিটের একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করে আত্মঘাতী হয়েছেন পুনীত। তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে ওই ভিডিয়োয়। দিল্লির এই ঘটনা মনে করাচ্ছে বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের ঘটনার ছায়া। স্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা গুরুতর অভিযোগ তুলে একই ভাবে আত্মহত্যা করেছিলেন অতুল। সেই মামলায় গ্রেফতার হন তাঁর স্ত্রী ও স্ত্রীর পরিজনেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement