এখনও পর্যন্ত বাড়ি থেকে অন্তত ৬০-৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফাইল চিত্র ।
দিল্লির মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে তিন তলা বাড়ির যে অফিস থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, দমকল বিভাগের কাছ থেকে সেই অফিসের মালিকরা ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) নেননি। এমনটাই জানালেন দিল্লির দমকল বিভাগের এক অধিকর্তা।
দিল্লি দমকল বিভাগের প্রধান অতুল গর্গ জানান, এই অফিসের মালিকরা অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যাচাই করে ‘এনওসি’র জন্য আবেদনই করেননি। এমনকি, এই বাণিজ্যিক ভবনের বেশির ভাগ অফিস দমকল বিভাগের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র নেয়নি। প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা না মেনেই তারা ওই বাড়িটিতে কাজ করছিলেন বলেও অভিযোগ করেন অতুল।
বাড়ি তৈরি বা কোনও বাড়িতে অফিস করার পর দমকল বিভাগের থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। দমকল বিভাগের ছাড়পত্র দেওয়ার অর্থ, সেই বাড়ি অগ্নিকাণ্ড রোধে অনেকাংশে সক্ষম। বাড়ি বা অফিস মালিক আবেদন করার পর দমকল বিভাগ বাড়ির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে ‘এনওসি’ দেয়।
এই অফিসের মালিক, বরুণ গোয়েল এবং সতীশ গোয়ালকে দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার মাঝ রাত পর্যন্ত পশ্চিম দিল্লির ওই বাড়িতে আগুন লেগে ২৭ জন মারা গিয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অন্তত চল্লিশ জন। শনিবার সকালে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও তল্লাশি চালাচ্ছে দমকল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই বাড়ি থেকে ৬০-৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।