প্রধানমন্ত্রী টুইট করেছেন, ‘‘দিল্লির অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত। শোকাহত পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’’
আগুন নেভানোর কাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।
পোড়া বাড়ি থেকে একে একে বেরোচ্ছে মৃতদেহ। আজ মধ্যরাত পর্যন্ত খবর, পশ্চিম দিল্লির ওই বাণিজ্যিক ভবনে আগুন লেগে ২৭ জন মারা গিয়েছেন। আগুনে পোড়ার ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি অন্তত চল্লিশ জন। বাড়ি জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে দমকল, যদি আর কারও সন্ধান মেলে। রাতে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অন্তত ৬০-৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে ওই তেতলা বাড়িটিতে মূলত বিভিন্ন সংস্থার অফিস রয়েছে। দোতলায় রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা ও রাউটার নির্মাতা একটি সংস্থার অফিস। সূত্রের খবর, আজ বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ সেই অফিসেই প্রথম আগুন লাগে। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে ভবনটিতে। ভিতরে যাঁরা ছিলেন, কিছু লোক বেরিয়ে আসেন। সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কেউ দড়ি ধরে দেওয়াল বেয়ে নামছেন। কেউ আগুন থেকে বাঁচতে লাফ দিচ্ছেন। ওই দৃশ্য মনে করিয়ে দিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে স্টিফেন কোর্টের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানলার কাচ ভেঙে উদ্ধার শুরু করে। সারা সন্ধে আগুনের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যায় দমকলের ৩০টি ইঞ্জিন। সিসিটিভি নির্মাতা সংস্থাটির পঞ্চাশেরও বেশি কর্মীকে উদ্ধার করা হয়। তবে সংস্থার মালিক হরিশ গোয়েল এবং বরুণ গোয়েলকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযোগ দায়ের হয়েছে বাড়ির মালিক মণীশ লাকড়ার বিরুদ্ধেও।
রাতে দিল্লির দমকল কর্তা সুনীল চৌধরি জানান, ‘‘আগুন আয়ত্তে। উদ্ধারকাজ চলছে। এলাকাটি এতটাই বড় যে, তা শেষ হতে সময় লাগবে।’’ মধ্যরাত পর্যন্ত পাওয়া খবর, তখনও একটি তলায় তল্লাশি বাকি। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। মৃতদের মধ্যে অন্তত এক জন মহিলা রয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল জানান, অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
প্রধানমন্ত্রী টুইট করেছেন, ‘‘দিল্লির অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত। শোকাহত পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’’ টুইটারে শোক প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটারে লেখেন, ‘‘আমি সংশ্লিষ্ট অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। প্রশাসন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী শীঘ্রই পৌঁছচ্ছে। মানুষগুলিকে ওখান থেকে বার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াটাই এখন অগ্রাধিকার।’’