দিল্লিতে আবার বাড়ছে বায়ু দূষণ। ফাইল চিত্র।
বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি। গত কয়েক বছরের মতোই দীপাবলির পর থেকেই দেশের রাজধানীর বাতাস ধুলো আর ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। ধোঁয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা নেমে এসেছে অনেকটাই। এই পরিস্থিতির জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। দেশের রাজধানীকে ১৯৫২ সালের লন্ডনের গ্যাস চেম্বার পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি।
প্রতি বছরই নভেম্বরের গোড়ায় দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে। দীপাবলির বাজি পোড়ানো, পরিবহণ এবং অন্য দূষণের পাশাপাশি অন্যতম কারণ পড়শি উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার কৃষি জমিতে খড়বিচালি পোড়ানো। প্রতি বছরই শীত আসার আগে সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে নতুন ফসল ওঠার সময় পর্যন্ত খেতখামারে শুকনো খড়বিচালি পুড়িয়ে দেন চাষিরা।
গত শীত পর্যন্ত বিজেপি শাসিত হরিয়ানা এবং তৎকালীন কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাবকে দিল্লির দূষণের জন্য নিশানা করেছেন কেজরী। কিন্তু এখন পঞ্জাবে সরকার চালাচ্ছে আপ। এই পরিস্থিতিতে কেজরীকে নিশানা করে টুইটারে ভূপেন্দ্র লিখেছেন, ‘‘সমীক্ষা বলছে, আপ শাসিত পঞ্জাবে ২০২১ সালের তুলনায় আগুন লাগানোর ঘটনা ১৯ শতাংশ বেড়েছে। হরিয়ানায় ৩০.৬ শতাংশ কমেছে। আজই পঞ্জাবে ৩,৬৩৪টি আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। সন্দেহ নেই কারা দিল্লিকে গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে।’’
কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রীর অভিযোগের সরাসরি জবাব না দিলেও কেজরীর দল একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘‘দূষণ গোটা উত্তর ভারতের সমস্যা। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিরও বায়ু মান সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) প্রায় সমান। দিল্লি এবং পাঞ্জাব কি সারা দেশে দূষণ ছড়াচ্ছে? কেন প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে সমস্ত রাজ্যের বৈঠক ডাকছেন না?’’