কোভ্যাক্সিন। ফাইল ছবি।
দিল্লির এমসে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে শিশুদের কোভ্যাক্সিনে ট্রায়াল। ট্রায়ালের জন্য শিশুদের বেছে নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন কতটা উপযুক্ত সেটাই মূলত দেখা হবে এই ট্রায়ালে। রবিবার থেকে পটনা এমসেও এই ট্রায়াল শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
করোনার প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে কমবয়সিরা অনেক বেশি সংখ্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যেই বিশেষজ্ঞদের সতর্কীকরণ, অনেক মানুষকে যদি টিকা না দেওয়া হয় তা হলে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। সেই ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল।
ভারতে মূলত ব্যবহৃত হচ্ছে তিনটি টিকা— কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড এবং স্পুটনিক ভি। তবে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যেই এই তিনটি টিকা ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। নীতি আয়োগ সদস্য ভিকে পল গত মাসে জানিয়েছিলেন, শিশুদের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ১৩ মে কেন্দ্র ছাড়পত্র দিয়েছে। ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে টিকার ট্রায়াল শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
১৮ বছরের কম বয়সিদের টিকা দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। যেমন, আমেরিকা এবং কানাডায় ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা একটি নির্দিষ্ট বয়সের শিশুদের মধ্যে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সিদের মধ্যে এই টিকা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। চিনা সংস্থা সিনোভ্যাকের তৈরি করোনা টিকা ‘করোনাভ্যাক’ দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৩ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের মধ্যে।