আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ দিল্লির রাস্তায়। —ফাইল চিত্র।
কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে আগেই শামিল হয়েছিলেন দিল্লি এমসের চিকিৎসকেরা। এ বার তাঁরা অভিনব পন্থায় প্রতিবাদ ঘোষণা করলেন। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দফতরের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাঁরা রোগী দেখবেন বলে জানিয়েছেন। সোমবার থেকেই শুরু হবে সেই কর্মসূচি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সে কথা ঘোষণা করেছেন দিল্লি এমসের চিকিৎসকেরা।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তার জেরে বহু সরকারি হাসপাতালে বহির্বিভাগের পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদকে আলাদা মাত্রায় নিয়ে যেতে উদ্যোগী হয়েছে দিল্লি এমস। কর্মবিরতির পথে না হেঁটে সেখানকার চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দফতরের সামনে বহির্বিভাগের পরিষেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন। দিল্লির নির্মাণ ভবনে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অফিস রয়েছে। ওই ভবনের সামনের রাস্তায় ১৯ অগস্ট থেকে পরিষেবা চালু থাকবে।
মূলত, হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাবে এবং কলকাতার ঘটনার বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন দিল্লি এমসের চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্যান্য যাবতীয় পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সোমবারও একই ভাবে হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা চলবে। তবে অন্য পরিষেবাগুলি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের কোনও দাবি পূরণ করা হয়নি। কলকাতার ঘটনার পর হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়ার সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা।
নির্মাণ ভবনের সামনে রাস্তায় বহির্বিভাগের পরিষেবা দেওয়ার জন্য যে যে পরিকাঠামো দরকার, তার বন্দোবস্ত করে দিতে সরকারকে অনুরোধ করেছে দিল্লি এমসের রেসিডেন্ট ডাক্তারদের সংগঠন আরডিএ। এর আগে সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ কলকাতার ঘটনার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল। রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সেই কর্মবিরতি চলেছে।
কলকাতায় গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় এক জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। ৯ তারিখ থেকেই কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলিতে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। জুনিয়র চিকিৎসকেরা সে দিন থেকেই কর্মবিরতি পালন করছেন। ক্রমে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতেও। তার পর সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে এবং নিরাপত্তা চেয়ে পথে নেমেছেন।