ভারতে তৈরি তেজস যুদ্ধবিমান। ফাইল চিত্র।
আমদানি নয়, উৎপাদন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক বছর পরেই অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের সংস্থানে ভারতের পুরনো নীতি বদলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দেওয়া সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, সামরিক ক্ষেত্রে মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ে তোলার স্লোগান প্রত্যাশারও বেশি সাফল্য পেয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বুধবার বলা হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের জন্য বাজেট বরাদ্দের মোট ৬৪ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু তা ছাপিয়ে গিয়ে ব্যয় হয়েছে ৬৫.৫ শতাংশ। ওই অর্থবর্ষে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের জন্য বরাদ্দের ৯৯.৫ শতাংশ ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে কাটছাঁট করতে কয়েক বছর আগেই সক্রিয় হয়েছিল মোদী সরকার। বিদেশ থেকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি নিয়েও নতুন করে পর্যালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনার পরে প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমারের নেতৃত্বে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনা পর্যালোচনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি এ বিষয়ে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকর করার সুপারিশ করেছিল।
এর পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি (ডিএসি) তা অনুমোদন করে। তার জেরে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ভারতকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে গত বছর প্রথম ধাপে ১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদী সরকার। তার আগে প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রে গতি আনার লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ৪৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।