ধ্বংসস্তূপের নীচে কেউ আটকে কি না খোঁজ চলছে। ছবি: পিটিআই।
লখনউয়ে বহুতল ভেঙে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে আট। শনিবার পর্যন্ত পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সারা রাত ধরে উদ্ধারকাজ চলেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আহতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ২৮। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও কেউ আটকে আছেন কি না, তার খোঁজ চালাচ্ছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং দমকল।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে যাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁরা হলেন, কিশোর (২৭), রুদ্র যাদব (২৪) এবং জাগরূপ সিংহ (৩৫)। যে বহুতলটি ভেঙে পড়েছে সেটি একটি ওষুধ সংস্থার গুদামঘর হিসাবে ব্যবহার হত। শনিবার বিকেল ৫টায় সেটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, চার বছর আগে বহুতলটি নির্মাণ হয়েছিল। বেশ কিছু দিন ধরে মেরামতির কাজ চলছিল সেখানে। তখনই বহুতলটি ভেঙে পড়ে।
যে সময় বহুতলটি ভেঙে পড়ে সেই সময় নীচের তলায় কাজ করছিলেন নির্মাণ শ্রমিকরা। তাঁরাই চাপা পড়ে গিয়েছিলেন। ওই ওষুধ সংস্থার কর্মী আকাশ সিংহ বলেন, “বহুতলের স্তম্ভে ফাটল ধরেছিল। আমরা সকলেই নীচের তলায় নেমে এসেছিলাম। বৃষ্টি চলছিল। হঠাৎই ভেঙে পড়ে গোটা বাড়িটি।” কারও কারও দাবি, মালপত্র তোলা এবং নামানোর সময় ট্রাকের ধাক্কা লেগেছিল বহুতলের স্তম্ভে। বেশ কয়েক বার ধাক্কা লাগায় সেই স্তম্ভে ফাটল ধরে। আর সে কারণেই বহুতলের কাঠামো দুর্বল হয়ে যায়। তার জেরেই ভেঙে পড়ে সেটি।