কেরলে হাউসবোট ডুবে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: রয়টার্স।
কেরলে হাউসবোট বা পর্যটকদের নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালিয়েছে প্রশাসন।
কেরলের মালাপ্পুরমের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র থুভাল থিরাম। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানেই একটি জলাশয়ে হাউসবোটে থাকার আনন্দ উপভোগ করছিলেন পর্যটকেরা। ওই হাউসবোটে মোট ৪০ জন ছিলেন। পর্যটকবোঝাই নৌকাটি হঠাৎ উল্টে যায়। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল। দ্রুত উদ্ধারকাজে হাত লাগায় তারা।
কেরলের মন্ত্রী ভি আবদুরাহিমান জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২১। যাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। পরে আরও এক জনের মৃত্যু হয়। আহতদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া, দুর্ঘটনাগ্রস্ত হাউসবোটটির নীচে অনেকে আটকে রয়েছেন বলে অনুমান উদ্ধারকারীদের। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
কেরলের এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে রবিবার রাতে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এত প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। ওই টাকা দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে।
দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও। তিনি মালাপ্পুরমের জেলাশাসককে বিপর্যয় মোকাবিলাবাহিনীর সঙ্গে সব রকম সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার সকালের সরকারি কর্মসূচিও বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সকালেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছবেন।