—প্রতীকী ছবি।
গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ৮০ বছর বয়সি বৃদ্ধ দর্শন সিংহ ব্রারকে। চার দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা চলার পর চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন দর্শনকে। অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতাল থেকে দর্শনের দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পথেই ঘটল এক অবাস্তব কাণ্ড। রাস্তার গর্তে ধাক্কা খাওয়ার পর হঠাৎ প্রাণ ফিরে এল দর্শনের ‘মৃতদেহে’। সঙ্গে সঙ্গে আবার শ্মশানের পথ থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ঘুরিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলেন দর্শনের পরিবারের সদস্যেরা। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হরিয়ানায় ঘটে। হরিয়ানার কার্নাল জেলার নিসিং শহরের বাসিন্দা দর্শন।
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দর্শনের নাতি বলবন সিংহ জানান, বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ বোধ করায় দর্শনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চার দিন ভেন্টিলেটরে থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার সময় দর্শনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে ছিল দর্শনের গ্রামের বাড়ি।
বলবন জানান, সেই গ্রামের শ্মশানেই শেষকৃত্যের জন্য দর্শনের ‘মৃতদেহ’ নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। অ্যাম্বুল্যান্সে করে গ্রামে যাওয়ার সময় রাস্তায় এক বিরাট গর্তের সঙ্গে ধাক্কা লাগে গাড়িটির। সাক্ষাৎকারে বলবন বলেন, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর আমরা কয়েকজন বসেছিলাম। ধাক্কা লাগার পর হঠাৎ দেখি দাদুর হাত কেঁপে উঠল। কিছু ক্ষণ পর বুঝতে পারলাম দাদু এখনও বেঁচে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স ঘুরিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালের দিকে গেলাম। এ তো ঈশ্বরের কৃপা। না হলে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে কী ভাবে?’’ বলবন আরও জানান যে, শেষকৃত্যের জন্য সমস্ত আয়োজন করে ফেলেছিলেন তাঁরা। গ্রামে একটি তাঁবু খাটানো হয়েছিল। সেখানে গ্রামবাসীদের জন্য সামান্য খাবারের বন্দোবস্ত করেছিলেন তাঁরা। এমনকি দেহ দাহ করার কাঠও আনিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা। বর্তমানে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন দর্শন।