Suicide

Suicide: উদ্ধার বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে আটক পুত্রবধূ

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মৃত বৃদ্ধের পুত্রবধূ এবং তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন শ্বশুর-শাশুড়িকে বধূ নির্যাতনের মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২২ ১৯:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাড়ির পাশের তাঁতঘর থেকে বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর এলাকার নৃসিংহপুরে। এই ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মৃত অমল সরকারের (৬৭) পুত্রবধূর বিরুদ্ধে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, নৃসিংহপুরের উত্তর কলোনির বাসিন্দা অমল পেশায় ছিলেন তাঁত শ্রমিক। তাঁর দুই ছেলে। বছর পাঁচেক আগে বড় ছেলে অমিতের বিয়ে দেন মুর্শিদাবাদ জেলার নিমতিতা এলাকায়। ওই দম্পতির চার বছরের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে। পড়শিরা জানাচ্ছেন, বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই অমিতের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর পারিবারিক কলহ শুরু হয়। তার জেরে ওই মহিলা প্রায়ই শ্বশুর-শাশুড়িকে বধূ নির্যাতন মামলায় (৪৯৮-এ) ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন।

এমনকি, মহিলার বাপের বাড়ির লোকজন একাধিক বার সদলবলে অমলের বাড়িতে চড়াও হয়েছেন বলেও অভিযোগ। বুধবারও তেমনটাই হয়েছিল। অমলের ছোট ছেলে সুব্রত বলেন, ‘‘গত কাল সকাল ১১টা নাগাদ বৌদির বাড়ির লোকজন উপস্থিত হন আমাদের বাড়িতে। বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেন। বৌদিও বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সে কারণেই বাবা আত্মহত্যা করেছেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘প্রতিবেশীরা কেউ কেউ এগিয়ে এলেও ঘটনাটি আমাদের পারিবারিক বিষয় বলে খুব বেশি নাক গলাননি।’’

Advertisement

সুব্রত জানান, তাঁর দাদার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অপমান সহ্য করতে না পেরে মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অমল। সারা রাত নিখোঁজ থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের তাঁতঘরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখা যায়। এর পর শান্তিপুর থানায় ফোন করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। শান্তিপুর থানার পুলিশ অমলের উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অন্য দিকে, পুত্রবধূ এবং তাঁর বাপের বাড়ি থেকে আসা তিন জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

অমলের প্রতিবেশী রমাকান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘মেয়েদের পক্ষেই তো সমস্ত আইন। তাই মামলার হুমকি উপেক্ষা করে এগোতে সাহস পাইনি আমরা।’’ প্রসঙ্গত, বধূ নির্যাতনের নানা ঘটনা প্রকাশ্যে আসলেও, বধূ এবং তার বাপের বাড়ির দ্বারা শ্বশুর-শাশুড়ির লাঞ্ছনার ঘটনাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বধূ নির্যাতন মামলার অপব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে ভূরি ভূরি। ৪৯৮-এ ধারায় মামলায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের পুলিশি হেনস্থার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ সালে পুরুষদের আগাম জামিনের সুযোগ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement