প্রতীকী ছবি।
ভারত থেকে কেনা গম এবং গমজাত আটা-ময়দা রফতানির উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকার। আগামী চার মাসের জন্য এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সংবাদমাধ্যম ‘এমিরেটস নিউজ এজেন্সি’ জানিয়েছে। সে দেশের সরকারের তরফে এমন পদক্ষেপের কোনও কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।
ঘরোয়া বাজারের চাহিদা মেটাতে গত ১৪ মে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্তের জেরে ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ায় গমের দাম বাড়তে শুরু করে। একাধিক দেশ এবং আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ)-এর তরফে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে ভারতের কাছে। এই পরিস্থিতিতে কেন এমন পথে হাঁটল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকার?
কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আমিরশাহি সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পিছনে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিস্থিতি সংক্রান্ত কোনও কারণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে বিজেপি মুখপাত্র (বর্তমানে সাসপেন্ড) নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আরব দুনিয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকে। সৌদি আরব, কাতার-সহ একাধিক দেশের শপিং মলে ভারতীয় পণ্য বিক্রি ঘিরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল।
সাধারণ ভাবে গম রফতানি বন্ধ করলেও চুক্তি অনুযায়ী সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে গম সরবরাহ করায় প্রক্রিয়া জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদী সরকার। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গেই নিঃশুল্ক বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে ভারতের। এই চুক্তি আওতায় থাকা পণ্য আমদানি এবং রফতানির ক্ষেত্রে পরস্পরের থেকে কোনও শুল্ক নেয় না দুই দেশ। চলতি বছর মে মাস থেকেই ওই চুক্তির আওতায় বাণিজ্য শুরু হয় দুই দেশের।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।