প্রতীকী ছবি।
তিথি বলছে মরসুম আসন্ন। কিন্তু পশ্চিম উপকূলের মৎস্যজীবীদের জালে এখনও মাছের দেখা নেই। আরব সাগরে উষ্ণায়নের ফলেই মাছেরা মুখ ফিরিয়েছে বলে মুম্বইয়ের জেলেরা মনে করছেন। এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ অর্থনৈতিক সঙ্কটের শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
ফি বছর বর্ষার গোড়ায় মুম্বই ও কোঙ্কণ উপকূল জুড়ে মৎস্যশিকারের মরসুম শুরু হয়। দিনভর দফায় দফায় কয়েক হাজার যন্ত্রচালিত নৌকা মাছের খোঁজে সমুদ্রে পাড়ি দেয়। বস্তুত, গ্রীষ্মের শেষ পর্ব থেকেই মাছের আনাগোনা বাড়তে শুরু করে। কিন্তু চলতি বছরে পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে। মুম্বইয়ের মৎস্যজীবী দর্শন কিনি জানিয়েছেন, আরব সাগরের জলে একাধিক জাল ফেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়েও মাছের দেখা মিলছে না। তাঁর কথায়, ‘‘বড়দের কাছে শুনেছি, হাঙর, স্টিং-রে বড় মাছ এখানে ঘুরে বেড়াত। ডলফিনের দেখাও পেয়েছি। ছোটবেলায় আমরা এক বার জাল ফেলে এক বালতি মাছ পেতাম। কিন্তু এখন একটা মাছও পাচ্ছি না।’’
কিনি জানিয়েছেন, আগে উপকূল থেকে ২-৩ কিলোমিটার দূরে গিয়েই তাঁরা মাছের বড় ঝাঁকের সন্ধান পেতেন। কিন্তু এখন বড় ঝাঁকের খোঁজ পেতে ৩০-৩৫ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। তাঁদের হালকা নৌকা এবং ছোট জাল নিয়ে ওই দূরে গিয়ে মাছ ধরা সম্ভব নয়। চলতি বছর প্রবল গ্রীষ্মের কারণেই মাছের ঝাঁক দূরে চলে গিয়েছে বলে মনে করেন তিনি। শুধু মহারাষ্ট্র নয়, কর্নাটক এবং কেরল উপকূলেও চলতি বছর মাছের আনাগোনা ‘খুব কম’ বলে জানিয়েছেন সেখানকার মৎস্যজীবীরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।