নদীর ধারে পড়ে রয়েছে তিন বছরের অর্জুনের দেহ। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত।
(এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় বলা হয়েছিল বন্যার জলে ডুবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরে অভিযোগ ওঠে, ওই শিশুর মা তাকে খুন করেছেন। মুজাফ্ফরপুরের জেলাশাসকও সেই অভিযোগের পক্ষেই মত প্রকাশ করেছেন। সারা দেশের বহু সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আমরাও এই খবরটি করেছিলাম। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত।)
নদীর তীরে পড়ে রয়েছে তিন বছরের একটি শিশু। তার মুষ্টিবদ্ধ দু’টি হাত উপরের দিকে তোলা। পা দু’টিও ছড়ানো। দেখে মনে হচ্ছে, যেন নদীর ধারে শুয়ে নিজের মনে খেলা করছে সে। তিন বছরের ওই শিশুটির নাম অর্জুন। মা ও ভাইবোনের সঙ্গে বুধবার সকালে বাগমতী নদীর ধারে বন্যার স্রোতে ভেসে যায় সে। বৃহস্পতিবার এ ভাবেই ভেসে উঠেছে তার দেহ। সেই ছবি নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল হয়েছে।
বন্যায় শিশুমৃত্যুর এই ঘটনা ঘটেছে বিহারে। গত বুধবার রানি দেবী নামে এক মহিলা তাঁর চার সন্তানকে নিয়ে বাগমতী নদীতে এসেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, কাচাকাচি সমেত ঘরগেরস্থালির কাজ সারবেন।সে সময়েই প্রবল ঢেউয়ে ভেসে যায় অর্জুন। অর্জুনকে বাঁচাতে তিন সন্তান নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন রানি। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের মানুষ তাঁদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন। কিন্তু রানির ছেলে অর্জুন, রাজা ও জ্যোতি ভেসে যায় নদীতে। কোনওমতে রানি ও তাঁর মেয়ে রাধাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এরপর বৃহস্পতিবার অর্জুনের দেহ ভেসে আসে। আর সেই ছবিই আলোড়ন তুলেছে সাড়া দেশে।
বন্যায় ভেসে যাওয়া শিশুর দেহ নদীর ধারে, এই ছবি দেখে নেটিজেনদের মন ভার। এই ঘটনা তাঁদের মনে করিয়ে দিচ্ছে অসহায় শিশুমৃত্যুর বেশ কয়েকটি ঘটনা। ২০১৫-তে সিরিয়ার তিন বছরের শিশু অ্যালান কুর্দিও ভূমধ্যসাগরের ধারে পড়েছিল এই ভাবেই। এ বছর মেক্সিকো থেকে আমেরিকা আসার পথে রিয়ো গ্রান্দে নদীর কাছে উদ্ধার হয়েছিল বাবা ও মেয়ের দেহ। অস্কার আলবার্তো মার্তিনেজকে জড়িয়ে ধরে রয়েছে তাঁর ২৩ মাসের শিশুকন্যা অ্যাঞ্জি। সেই ছবিও আলোড়ন তুলেছিল বিশ্ব জুড়ে।
ভূমধ্যসাগরের ধারে অ্যালান কুর্দির দেহ। ফাইল চিত্র।
রিয়ো গ্রান্দে নদীতে বাবা ওমেয়ের মৃতদেহ। ফাইল চিত্র।
আরও পড়ুন: প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মাঝপথেই ট্রেন থামিয়ে দিলেন চালক! ভিডিয়ো ভাইরাল
আরও পড়ুন: অবিবাহিত মেয়েদের মোবাইলে নিষেধাজ্ঞা! ‘ভিন জাতে’ বিয়ে করলে জরিমানা দেড় লাখ