(বাঁ দিক থেকে) সনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও চাপে কংগ্রেস। শুক্রবারই ১৮০০ কোটি টাকা চেয়ে আয়কর দফতর নোটিস পাঠিয়েছিল রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দলকে। ২৪ ঘণ্টা কাটতে কাটতেই কংগ্রেস নাকি আরও দু’টি নোটিস পেয়েছে, এমনই দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তাঁর দাবি, শুক্রবার রাতেই তাঁদের কাছে আয়কর দফতরে আরও দু’টি নোটিস এসেছে।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধী দলগুলিকে ভোটের আগে আর্থিক ভাবে পঙ্গু করে দিতে চান।’’ তাঁর দাবি, আয়কর দফতরকে কাজে লাগিয়ে মোদী সরকার ‘কর সন্ত্রাস’ চালাচ্ছে।
কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার দাবি করেছেন, শুক্রবার রাতে তিনি আয়কর নোটিস পেয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আয়কর দফতর আমাকে একটা নোটিস পাঠিয়েছে। যা দেখে আমি অবাক। যে বিষয় ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সে বিষয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কংগ্রেস এবং বিরোধী জোট ইন্ডিয়াকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি।’’
শুক্রবার বকেয়া কর, তার সুদ এবং জরিমানার অঙ্ক মিলিয়েই ১,৮২৩ কোটি টাকা কংগ্রেসের থেকে চাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। আয়কর আইনের ১৩(১) ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ মেলার পরেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। গত ১৩ মার্চ আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আবেদন দিল্লি হাই কোর্ট খারিজ করার পরেই ধারাবাহিক ভাবে পদক্ষেপ শুরু করেছে আয়কর দফতর।
বৃহস্পতিবার ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের কর পুনর্মূল্যায়নের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের একটি নতুন আবেদন দিল্লি হাই কোর্ট খারিজ করে দিয়েছিল। বিষয়টি ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কর সংক্রান্ত। কিন্তু গত ১৩ মার্চ বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বেঞ্চ সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। এর আগে ১৪ লক্ষ টাকা হিসাবের গরমিলের অভিযোগে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করে ১৩৫ কোটি টাকা জরিমানা ও সুদ কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।