একেই কি বলে স্বপ্নের বাস্তবের মাটিতে নেমে আসা? নাকি তার থেকেও বেশি কিছু? স্বপ্নকে সত্যি করে সাফল্যের অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন পঞ্জবের শ্রুতি কুমার।
২৩ বছরের শ্রুতির বাবা সুরিন্দর কুমার পঞ্জাবের নকোবরের একটি সাব ডিভিশনল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে চা বিক্রি করেন । বহু কষ্টে মেয়েকে পড়াশোনা শিখিয়েছেন তিনি। অনেক আশা ছিল মেয়েকে নিয়ে। আশা পূরণ করেছেন মেয়ে শ্রুতি। পঞ্জব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্রী শ্রুতি প্রথম চেষ্টাতেই পঞ্জাব সিভিল সার্ভিস (জুডিসিয়াল) পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছেন শুধু তাই নয়, সেই আদালতেই বিচারক পদে নিযুক্ত হয়েছেন, যার সামনে চা বিক্রি করেন তাঁর বাবা।
মেয়ের উপর ভরসা থাকলেও এতটা ভাবেননি সুরিন্দর। এই মুহূর্তে সেই গর্বিত বাবা জানিয়েছেন তাঁর জীবনের সব থেকে বড় প্রাপ্তি মেয়ের এই সাফল্যই।
শ্রুতি জানাচ্ছেন ছোটবেলা থেকেই আইনি পেশায় উত্সাহ ছিল তাঁর। তবে নিজের সাফল্যকে ব্যতিক্রমী ভাবতে নারাজ তিনি। সারা দেশেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় বর্তমানে মেয়েদের সাফল্যের হার প্রশংসনীয়।
পঞ্জবের বিজেপি সাংসদ অভিনাশ রাই খান্নার কথায় ‘‘শ্রুতি পঞ্জাবের গর্ব’’।