প্রতীকী চিত্র।
দলিত তরুণীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন দুই পুলিশকর্মীও। তাঁদের সাসপেন্ড করেছেন কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি রাজস্থানের বিকানেরের। ২০ বছর বয়সি ওই তরুণী কাছেই একটি গ্রামে থাকতেন। তিনি বিকানেরের খাজুওয়ালা এলাকায় কোচিংয়ের সূত্রে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সেই কোচিংয়ে পড়তে এসেই তিনি বিপদে পড়েন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত যুবককে চিহ্নিত করা গিয়েছে। অভিযোগ, তিনি গত ১৫ দিন ধরে তরুণীর উপর নজর রাখছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তরুণী পড়তে গেলে ওই যুবকও সেখানে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দু’জন পুলিশকর্মী। তাঁরা খাজুওয়ালা থানার কনস্টেবল। তিন জন মিলে কোচিং সেন্টার থেকে তরুণীকে অপহরণ করেন বলে অভিযোগ। তার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় যুবকের বাড়িতে। সেখানে গণধর্ষণের শিকার হন তরুণী। ধর্ষণের পর তাঁকে খুন করা হয়।
তরুণীর পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, গোটা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তরুণীর দেহ খাজুওয়ালার একটি সিনেমাহলের সামনে ফেলে রেখে গিয়েছেন অভিযুক্তেরা। ওই তিন জন ছাড়া আরও দুই যুবক এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের।
অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। মৃতের পরিবার মূল অভিযুক্ত-সহ বাকিদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।