প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দলিত পরিবারের সঙ্গে বৈষম্যের অভিযোগ মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গ্রাম থেকে আসা এক দলিত পরিবারকে মন্দিরের ভোজের আসরে বসতেই দেওয়া হয়নি। ঈশ্বরের প্রসাদও দূর থেকে তাঁদের হাতে ছুড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার। গত মঙ্গলবার সেখানে সেমরা গ্রামের রাম জানকি মন্দিরে ভোজসভার আয়োজন করা হয়েছিল। ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষেই ভোজের আয়োজনে মেতেছিলেন সকলে। গ্রাম থেকে এই ভোজের রসদ সংগ্রহ করেছিলেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। এমনকি, গ্রামের দলিত সম্প্রদায়ের কয়েক জন সদস্য অর্থও দিয়েছিলেন ভোজের জন্য। ওই গ্রামেরই এক পরিবারের কয়েক জন ভোজের দিন প্রসাদ পাওয়ার আশায় মন্দিরে যান। কিন্তু অভিযোগ, ভোজের কাছেও তাঁদের ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। বরং কয়েক জন তথাকথিত ‘উচ্চবর্ণের’ মানুষ তাঁদের দিকে দূর থেকে প্রসাদ ছুড়ে দেন বলে অভিযোগ। প্রসাদ ছুড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবলু কুশওয়াহা এবং রামভজন যাদবের বিরুদ্ধে।
এই বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে মন্দিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের দলিত সম্প্রদায়ের মানুষজন। অভিযোগ, দলিতদের বিক্ষোভ দেখে ওই দু’জন বৈষম্যমূলক মন্তব্য করে তাঁদের অপমান করেন।
ঘটনার পরেই নিগৃহীত দলিত পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তারা এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে পুলিশের কাছে। শুক্রবার সকালে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনে মামলা করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তেরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁদের খোঁজ চলছে।