— প্রতীকী ছবি।
মুম্বই পুলিশের কর্তারা কেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাড়ায়! জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষগুলি ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। তার পর পুলিশকর্তারা যা বললেন, তা শুনে চক্ষু চড়কগাছ দিন-আনি-দিন-খাই মানুষগুলির। পুলিশকর্তারা জানান, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৮০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কে করলেন, কেন করলেন, তা জানতেই মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট জেলার ওয়ারাসেওনি পৌঁছেছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
পুলিশ তাঁদের সন্দেহ করেনি। কিন্তু তাঁরা নিজেরা ভয়ে কাবু। মুম্বই পুলিশ খোঁজ খবর নিয়েই বুঝতে পেরেছিল, এই হতদরিদ্র মানুষগুলির নথি ব্যবহার করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল প্রতারকরা। সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই কোটি কোটির লেনদেন চলে। সেই সম্পর্কে খানাতল্লাশি করতেই মুম্বই পুলিশের আগমন ভোপাল থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দূরের ওয়ারাসেওনিতে।
স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, দু’জন এজেন্ট এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে নথিপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রত্যেককে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তী কালে তাঁরা জানান, কোনও সমস্যার কারণে এখন অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না। পুলিশের সন্দেহ, বাসিন্দাদের সমস্যার দোহাই দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না জানানো হলেও ওই নামেই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। তার পর সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই চলে কালো টাকার লেনদেন।
একই সন্দেহে ওয়ারাসেওনির পার্শ্ববর্তী বুদবুদা গ্রামের পাঁচ বাসিন্দাকে নোটিস পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিশও। রাজধানীর পুলিশেরও দাবি, ওই পাঁচ বাসিন্দার নামে খোলা অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কিন্তু অর্থের উৎস বোঝা যাচ্ছে না।
আর এ সব দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখ কপালে। তাঁরা বলছেন, এক কোটিতে কতগুলি শূন্য বসে, তা-ই জানা নেই তাঁদের। এ নিয়ে স্থানীয় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। ওয়ারাসেওনির এসডিপিও অরবিন্দ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘চার-পাঁচ জন এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। আমরা এখনও ঘটনার সূত্র মেলাতে পারিনি। তদন্ত চলছে। তার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’