গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। ফাইল চিত্র
গত দু’দিন ধরে করোনায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২০ হাজারের উপরেই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেও কোভিডের দৈনিক সংক্রমণের রেখচিত্রে কোনও হেরফের দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে হল ২০,৪০৮। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ২০,৪০৯। রাজ্যভিত্তিক কোভিডের সার্বিক পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায়, দেশে দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় মহারাষ্ট্র ও কেরলকে ছাপিয়ে শীর্ষে রয়েছে কর্নাটক। গত ২৪ ঘণ্টায় কর্নাটকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,১৩০। এর পরে রয়েছে মহারাষ্ট্র (১,৯৯৭), তামিলনাড়ু (১,৬২৪), কেরল (১,৬০৯) ও পশ্চিমবঙ্গ (১,২৮৪)। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে কোভিডে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১,২৪৫। গত এক মাসে দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা সর্বোচ্চ।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার সামান্য কমে হল ৫.০৫ শতাংশ। শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৫.১২ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ২০,৯৫৮ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৪২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে ২০৩ কোটি ৯৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪৮০ টিকাকরণ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। এর মধ্যে কেরলে মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে ১১ জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে ছয় জন, হরিয়ানা ও কর্নাটকে চার জন ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, গুজরাতে তিন জন, এবং ছত্তীসগঢ়, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীরে দু’জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। এ ছাড়া সিকিম, চণ্ডীগড়, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, ওড়িশা ও দিল্লিতে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৪৭। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৭৫।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)