গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৭৩৪। ফাইল চিত্র
দেশ জুড়ে করোনার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা গত সপ্তাহে ২০ হাজারের গণ্ডি পেরোলেও টানা পাঁচ দিন ধরে এই সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে হল ১৩,৭৩৪। সোমবার এই সংখ্যা ছিল ১৬,৪৬৪। রাজ্যভিত্তিক কোভিডের সার্বিক পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায়, দেশে দৈনিক সংক্রমণের তালিকার শীর্ষে মহারাষ্ট্রকে ছাপিয়ে শীর্ষে তামিলনাড়ু। গত ২৪ ঘণ্টায় তামিলনাড়ুতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩৫৯। এর পরে রয়েছে কেরল (১,৩২১), কর্নাটক (১,২৮৭), হিমাচল প্রদেশ (৮৫৯), মহারাষ্ট্র (৮৩০) ও দিল্লি (৮২২)।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হারে বৃদ্ধি দেখা দিয়ে হয়েছে ৩.৩৪ শতাংশ। সোমবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৬.০১ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১৭,৮৯৭ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭৮৭ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৪৯ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ২০৪ কোটি ৬০ লক্ষ ৮১ হাজার ৮১ টিকাকরণ হয়েছে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। এর মধ্যে কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে সাত জন ও পশ্চিমবঙ্গে ছ’জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া হিমাচল প্রদেশে তিন জন, দিল্লি, কর্নাটক, পঞ্জাব ও গোয়াতে দু’জন ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, গুজরাত, ছত্তীসগঢ়, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড, পুদুচেরী এবং জম্মু ও কাশ্মীরে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। সোমবার এই সংখ্যা ছিল ৩৯। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৯৯৩।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)