দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার ২.৪৯ শতাংশ। —ফাইল চিত্র
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯,০৬২। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ছিল ৮,৮১৩। রাজ্যভিত্তিক কোভিড পরিস্থিতির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে দিল্লিকে ছাপিয়ে শীর্ষে রয়েছে কর্নাটক । গত ২৪ ঘণ্টায় কর্নাটকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১,১২১। দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় এর পর রয়েছে দিল্লি (৯১৭), মহারাষ্ট্র (৮৩৬) ও তামিলনাড়ু (৬৭০)। রাজধানীতে দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে ২০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লির হাসপাতালগুলিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশ ব্যক্তি করোনার দু’টি টিকা নিয়েছেন। মাত্র ১০ শতাংশ ব্যক্তিরই বুস্টার টিকা নেওয়া। অর্থাৎ, বুস্টার টিকা যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে কেরল ও পঞ্জাবে ছয় জন এবং কর্নাটকে পাঁচ জন মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া রাজস্থান ও দিল্লিতে তিন জন, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্রে দু’জন এবং ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, সিকিম, লাদাখে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ছিল ২৯। দেশে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৯৭ জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে হল ২.৪৯ শতাংশ। মঙ্গলবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৪.১৫ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১৫,২২০ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ ৫৪ হাজার ৬৪ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৫৭ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ২০৮ কোটি ৫৭ লক্ষ ১৫ হাজার ২৫১ টিকাকরণ হয়েছে।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)