গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে দেশে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। —ফাইল চিত্র
দেশে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কমতে শুরু করলেও গত ২৪ ঘণ্টায় আবার বেড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,৯১৭। রবিবার এই সংখ্যা ছিল ১৪,০৯২। রাজ্যভিত্তিক কোভিড পরিস্থিতির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রকে ছাপিয়ে শীর্ষে রয়েছে রাজধানী। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে রয়েছে দু’হাজারের উপরেই। ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ২,১৬২। মহারাষ্ট্রেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও দু’হাজারের গণ্ডি পার করে করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ২,০৮২। দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় এর পর রয়েছে কর্নাটক (১,৮৩৭), কেরল (১,০০৭) ও রাজস্থান (৮৮২)।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কেরল ও দিল্লিতে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ জন, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে তিন জন ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাব ও নাগাল্যাণ্ডে দু’জন এবং হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, অসম, ওড়িশা, চণ্ডীগড় ও গুজরাতে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রবিবার এই সংখ্যা ছিল ৪১। দেশে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৩২ জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার এক লাফে অনেকটাই বেড়ে হল ৭.৫২ শতাংশ। রবিবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৩.৬৯ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১৪,২৩৮ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ ২৩ হাজার ৮০৪ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৫৪ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ২০৮ কোটি ২৫ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৩১ টিকাকরণ হয়েছে।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)