অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা হিসাব কষে জানিয়ে দিলেন ঠিক কতটা ডিএ বাড়তে পারে কেন্দ্রের কর্মচারীদের! প্রতীকী ছবি।
বকেয়া ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে যখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের কর্মী সংগঠনগুলি বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তখন কেন্দ্রীয় সরকারের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সম্ভাব্য ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে শুরু হল আলোচনা। চলতি মাসেই নিয়মমাফিক ডিএ বাড়তে পারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের। এর মধ্যেই অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা হিসাব কষে জানিয়ে দিলেন ঠিক কতটা ডিএ বাড়তে পারে কেন্দ্রের কর্মচারীদের!
হিসাব অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে কর্মরতরা আর্থিক বর্ষের শুরুতে যে মহার্ঘভাতা পেতে চলেছেন, তার পরিমাণ ঘোরাফেরা করতে পারে ৪ শতাংশের আশপাশে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার এবং অন্যান্য নির্ধারক সূচকে নজর রেখেই এই হিসাব কষেছেন বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে সরকারি কর্মীদের বেতনবৃদ্ধির পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী বা তাঁদের পেনশন প্রাপক আত্মীয়রাও ওই বর্ধিত ডিএ-র সুবিধা পেতে পারেন।
ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিতে কেন্দ্রীয় সরকার বছরে দু’বার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বা মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি করে। প্রথম দফায় জানুয়ারি মাসে এবং দ্বিতীয় দফায় জুলাই মাসে ডিএ বৃদ্ধি করা হয়। তবে প্রথম দফার ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা সাধারণত করা হয় মার্চ মাসেই। সেই হিসাবে এই মাসের শেষেই এই ঘোষণা হওয়ার কথা। কিন্তু কতটা বাড়বে মহার্ঘভাতা?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হিসাব কষা হয় শ্রমিকদের জন্য সাম্প্রতিক ভোগ্যপণ্য মূল্যের সূচকের (সিপিআই-আইডব্লু) ভিত্তিতে। দ্য লেবার ব্যুরো নামে শ্রম মন্ত্রকের একটি বিভাগ প্রতি মাসে সিপিআই-আইডব্লুর একটি তথ্যসূচি প্রকাশ করে। সেই সূচি দেখেই হিসাব কষা হয়েছে ডিএ-র সম্ভাব্য বৃদ্ধির পরিমাণের।
এই হিসাব কষার একটি বাঁধাধরা সমীকরণ রয়েছে। সেই সমীকরণেই মহার্ঘভাতা বা ডিএ এবং ডিয়ারনেস রিলিফে ৪ শতাংশের আশপাশে বৃদ্ধি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা কেন্দ্রের এই ডিএ বৃদ্ধির পর ডিএ নিয়ে চাপে থাকা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার কিছুটা হলেও চাপে পড়তে পারেন।