প্রতীকী ছবি।
ডিএ বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের। রাজ্যে যখন বকেয়া ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভ বাড়ছে, ঠিক সেই সময়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির প্রস্তাব। খুব শীঘ্রই যার সুবিধা পেতে চলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের এক কোটিরও বেশি কর্মচারী।
শুক্রবার বসেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানেই অনুমোদিত হয়েছে কেন্দ্রের কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, এই ডিএ বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রের তরফে ১২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা খরচ করা হবে। নতুন প্রস্তাব কার্যকর হলে আগের ৩৮ শতাংশের বদলে ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীরা।
সাধারণ জিনিসপত্রের বর্ধিত দাম এবং অন্যান্য মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বছরে দু’বার ডিএ বৃদ্ধি করা হয়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার এবং অন্যান্য নির্ধারক সূচকে নজর রেখেই ডিএ বৃদ্ধির হিসাব কষেন বিশেষজ্ঞরা। এতে সরকারি কর্মীদের বেতনবৃদ্ধির পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী বা তাঁদের পেনশন প্রাপক আত্মীয়রাও ওই বর্ধিত ডিএ-র সুবিধা পান। প্রথম দফায় জানুয়ারি মাসে এবং দ্বিতীয় দফায় জুলাই মাসে বৃদ্ধি করা হয় মহার্ঘ ভাতা। আর এই প্রথম দফার ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা সাধারণত হয় মার্চ মাসেই। সেই নিয়ম মেনেই শুক্রবার, ২৪ মার্চ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণায় স্বাভাবিক ভাবেই চাপ বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির খবরে স্বাভাবিক ভাবেই ডিএ নিয়ে আন্দোলন, রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের ক্ষোভ বাড়বে। সেই সঙ্গে ‘ডিএ দিতে অপারগ’ বলে ঘোষণা করা রাজ্য সরকারের উপর চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।