Cyclone in Bay of Bengal

৪৮ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’! সতর্কতা জারি করা হল কোন রাজ্যে?

হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বৃহস্পতিবার থেকেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অধিকাংশ অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ শুরু হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:২৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে নতুন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল হাওয়া অফিস। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর বুধবার জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। তার পর সেটি আরও ঘনীভূত হয়ে আগামী শুক্রবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

Advertisement

এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সম্ভাব্য দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে সাত জেলাকে সতর্ক করেছে ওড়িশা প্রশাসন। এই জেলাগুলি হল বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দ্রাপাড়া, জগতসিংহপুর, পুরী, খুরদা এবং গঞ্জাম। রাজ্যের ত্রাণ এবং উদ্ধার সংক্রান্ত দফতরের বিশেষ কমিশনার সত্যব্রত সাহু ওই সাত জেলার জেলাশাসকদের সতর্ক করে জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিন সমুদ্র ভয়াল রূপ ধারণ করতে পারে। রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই সময় মৎসজীবীদেরও গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বৃহস্পতিবার থেকেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অধিকাংশ অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ শুরু হবে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি তৈরি হলে এ রাজ্যে তার প্রভাব কতটা পড়বে বা কতটা ঝড়বৃষ্টি হবে, সে ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত নন আবহবিদেরা। তবে নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা থাকবে।

Advertisement

এর আগে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে থাকা শীত শীত ভাব নভেম্বরের বাকি দিনগুলিতেও বজায় থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছিল হাওয়া অফিস। কিন্তু মাসের শেষ দিকে এসে তার ছন্দপতন হল। নিম্নচাপ অঞ্চলের কারণে আগামী দু’দিন রাজ্যের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে বলে হাওয়া অফিস জানিয়েছে। তবে কড়া শীত পড়তে আর বেশি দেরি নেই বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শীত পড়তে পারে বাংলায়।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় আমপান আছড়ে পড়ার পর থেকে আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগর, অর্থাৎ উত্তর ভারত মহাসাগরে তৈরি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক আবহাওয়া দফতর (ওয়ার্ল্ড মেটিয়োরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট)। ২০২০ সালে মৌসম ভবনের তরফে ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের সেই তালিকা দেওয়া হয়েছিল। আগামী শুক্রবার সাগরে যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তা হলে তালিকা অনুযায়ী তার নাম হবে ‘মিগজাউম’। ‘মিগজাউম’ নামটি মায়নমারের দেওয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement