শুক্রবার সকাল থেকেই তামলিনাড়ুতে ভারী বৃষ্টি। বন্ধ স্কুল, কলেজ। ছবি: পিটিআই।
শুক্রবার মাঝরাতেই চেন্নাই উপকূলের কাছে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় মন্দৌস। সকাল থেকেই তামলিনাড়ুতে ভারী বৃষ্টি। চেন্নাই-সহ ১২টি জেলায় বন্ধ স্কুল, কলেজ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। বাংলাতেও প্রভাব পড়তে পারে। শুক্রবার থেকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়তে পারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার মাঝরাতে চেন্নাইয়ের কাছে মামাল্লাপুরম দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে মন্দৌস। তখন হাওয়ার বেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। শনিবার দুপুরের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। ১৩টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
এই মন্দৌসের প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তামিলনাড়ুর উত্তরাংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় চেন্নাইয়ে ৫২.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। চেন্নাই, তিরুভাল্লুর, ভেলোর, চেঙ্গালপট্টু, রানিপেট্টাই, কাঞ্চিপুরম-সহ ১২ জেলায় স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
চেন্নাইয়ের সব পার্ক, খেলার মাঠ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা। পরবর্তী নির্দেশিকা যত ক্ষণ না জারি করা হচ্ছে, তত ক্ষণ বন্ধ থাকবে এগুলি। শহরবাসীকে শুক্রবার সৈকতে যেতেও বারণ করেছে পুরসভা। সমুদ্র সৈকতের ধারে সব দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। গাছের নীচে গাড়ি না রাখারও পরামর্শ দিয়েছে পুরসভা। তামিলনাড়ু জুড়ে ৫,০৯৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। তার মধ্যে চেন্নাইতেই রয়েছে ১৬৯টি। গোটা রাজ্যে ১২১টি আশ্রয় শিবিরও খোলা হয়েছে।
প্রশাসনের আশঙ্কা, ঝড়ের কারণে প্রচুর গাছ উপড়ে যেতে পারে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। রাজ্যবাসীকে সে কারণে মোমবাতি, ব্যাটারি, পানীয় জল মজুত রাখতে বলেছে। বাঁধ সংলগ্ন জালাধার থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়াও নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ১০টি জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মৎস্যজীবীদের তিন দিন সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে সংলগ্ন অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পুদুচেরিতে।