ঘূর্ণিঝড় কিয়ারের দাপটে গোয়ায় উপড়ে পড়েছে গাছ। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে
ভারী বৃষ্টির সতর্কতা আগেই ছিল। ঘূর্ণিঝড় কিয়ারের দাপটে এ বার চার রাজ্যের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করল মৌসম ভবন। ২০০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে চলেছে কিয়ার। তার দাপটে মহারাষ্ট্র, গোয়া, ও কর্নাটক এবং গুজরাত উপকূলের কিছু অংশে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। তবে ভারতীয় কোনও রাজ্যের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ক্ষীণ বলেই জানাচ্ছেন মৌসম ভবনের আবহবিদরা। তবে গোয়ায় ঝড়ে বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়ার খবর মিলেছে। সমুদ্রের জল উপচে উঠে এসেছে বিভিন্ন এলাকায়। জলমগ্ন নীচু এলাকাগুলি। জলমগ্ন জাতীয় সড়কও।
শুক্রবার মৌসম ভবন জানিয়েছিল, আরব সাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘কিয়ার’। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মুম্বই থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল ‘কিয়ার’। তখন হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটারের মতো, জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। একই সঙ্গে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং গোয়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দিয়েছিল।
পাশাপাশি হাওয়া অফিসের বার্তা ছিল, রবিবার সকালে কিয়ার ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে কিয়ার। জানাল মৌসম ভবন।
এর পরেই মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং কর্ণাটকের উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করে বার্তা দিয়েছে মৌসম ভবন। এছাড়া গুজরাত উপকূলের একটি অংশেও একই বার্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে মৌসম ভবনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিভাগের আধিকারিক অনুপম কাশ্যপ জানিয়েছিলেন, রবিবার ভোর থেকেই আরব সাগরের বিভিন্ন জায়গায় হাওয়ার গতিবেগ ২০০ কিলোমিটার হতে পারে। সেই কারণেই ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে এবং ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন: রফা হতেই ‘ছুটি’ চৌটালার বাবার, মুখ্যমন্ত্রী খট্টরই, সঙ্গী দুষ্মন্ত
আরও পড়ুন: মার্কিন অভিযানে আইএস শীর্ষ নেতা আল বাগদাদি নিহত? ট্রাম্পের টুইটে জল্পনা চরমে
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এই সময়ে মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক এবং গুজরাতের কিছু অংশে সমুদ্র উত্তাল থেকে অতি উত্তাল অবস্থায় থাকবে।