গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
রবিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগরে জন্ম নিয়েছিল ‘অশনি’। সমুদ্রে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের ‘জীবন’ সাধারণত জমিতে আছড়ে পড়েই শেষ হয়। কিন্তু ‘অশনি’র ক্ষেত্রে তা হয়নি।
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া শেষ খবর বলছে, সামুুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় অশনি আদৌ স্থলভাগে ঢুকবে না। আছড়ে পড়বে না কোথাও। সমুদ্রে জন্ম নেওয়া ‘অশনি’ তা হলে কোথায় থামবে? জন্মের পর তার ‘মৃত্যু’ হবে কী ভাবে! মঙ্গলবার তার একটি সম্ভাব্য রেখচিত্র এঁকেছে মৌসম ভবন।
আবহাওয়া দফতর মঙ্গলবার যে শেষ খবর দিয়েছে, তা মানলে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’মঙ্গলবার রাত থেকেই শক্তি হারিয়ে দুর্বল হচ্ছে। আর ঘূর্ণিঝড় হিসেবে তার ‘মৃত্যু’ হবে বৃহস্পতিবার সকালে। কিন্তু কী ভাবে?
আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেলেও বিশাখাপত্তনম থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে ছিল অশনি। আবহবিদরা জানিয়েছেন, উপকূলের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি অত্যন্ত ধীরগতিতে এগচ্ছে (ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার গতিবেগে)। তবে উপকূলের কাছাকাছি এলেও সেটি স্থলভাগে ঢুকবে না। মুখ ফেরাবে ওড়িশার দিকে। সেই সময় ঝড়ের ঘুর্ণন গতি থাকবে ঘণ্টায় ৮৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ তীব্র থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘অশনি’।
দুর্বল হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়টি অবশ্য শেষমেশ ওড়িশা পর্যন্তও পৌঁছতে পারবে না। তার আগেই আবার মুখ ঘোরাবে উত্তরপূর্ব দিকে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সমুদ্রে থেকে শেষ মেষ বঙ্গোপসাগরের মাঝামাঝি জায়গায় ঝড় থেকে নিম্নচাপে পরিণত হবে।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ‘অশনি’। তারপর সমুদ্রেই বৃহস্পতিবার রাতে সেটি সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে। অর্থাৎ সমুদ্রে জন্ম নেওয়া ঘূর্ণিঝড় শেষ হবে সমুদ্রেই।