পুরীতে চলছে মাইকিং। নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রেক্ষিতে আগেভাগে সতর্কতা জারি হয়েছে ওড়িশা উপকূলে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ঢেউয়ে উত্তাল পুরীর সমুদ্র সৈকত থেকে পর্যটকদের সরানোর কাজ করছে প্রশাসন। চলছে মাইকিং। মোতায়েন পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। সাইরেন বাজিয়ে লাল পতাকা দেখিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে পর্যটকদের। তবু মেঘলা আকাশ ঘেরা উত্তাল পুরীর সমুদ্র সৈকত ছাড়তে গিয়ে মন খারাপ পর্যটকদের। কেউ বলছেন, ‘‘এটাই তো আনন্দের সময়!’’ কেউ আবার ইচ্ছে না থাকলেও পুলিশের ঠেলা খেয়ে বাধ্য হয়ে হোটেলমুখী হচ্ছেন।
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র শক্তি খানিকটা অবশ্য হ্রাস পেয়েছে। আবহবিদদের পূর্বাভাস, ক্রমশ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ‘অশনি’। তবে মঙ্গলবার দুপুরে পুরীর সমুদ্রে ঝোড়ো হাওয়া আর উত্তাল ঢেউ দেখে পর্যটকদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাতেই যেন কিছুটা খাপ্পা পর্যটকেরা। কেউ কেউ অনিচ্ছা সত্ত্বেও সমুদ্র-বিলাস ছেড়ে হোটেলের দিকে ফিরে যাচ্ছেন। কাউকে আবার দেখা গেল পুলিশের সঙ্গে ‘লুকোচুরি’ খেলছেন। কেউ কেউ আবার পুলিশের সাইরেন, অনুরোধ-আবেদনেও ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন সমুদ্র সৈকতে।
উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা পরেশ মণ্ডল যেমন। সপরিবার পুরী ভ্রমণে গিয়েছেন তিনি। সমুদ্রের পাশ থেকে তাঁদের উঠে যেতে বলতেই পরেশ বলেন, ‘‘এই সময়েই তো সমুদ্রের সঙ্গে তো আনন্দ করতে হয়। আজ আমরা আনন্দ করতে এসেছি।’’ পুলিশ উঠিয়ে দিতে কিছুটা মনখারাপও তাঁর। বলেন, ‘‘পুলিশ উঠিয়ে দিচ্ছে ঠিকই। আসলে সবাই যাতে সাবধানে থেকে আনন্দ করতে পারি, তাই করছে পুলিশ।’’