Cyclone

মোতায়েন এনডিআরএফ, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা বৈঠকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

বুধবার দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়া উপদ্বীপের মাঝখানে কোনও একটি জায়গায় উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমপান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২০ ২১:৩২
Share:

ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: টুইটার থেকে

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’-এর মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এনআরএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ২৫টি দল ‘গ্রাউন্ড জিরো’-তে মোতায়েন করা হয়েছে। তৈরি রয়েছে আরও বাহিনী।

Advertisement

বুধবার দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়া উপদ্বীপের মাঝখানে কোনও একটি জায়গায় উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমপান। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতা— এই ৬ জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে সোমবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা পি কে সিংহ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা, এনডিআরএফ-এর ডিজি সত্যনারায়ণ প্রধান-সহ সংশ্লিষ্ট একাধিক দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, যে এলাকায় ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আছড়ে পড়বে এবং ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে কী ভাবে উপকূলের এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরানো হচ্ছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকের পর টুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘‘আমপানের মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। বাসিন্দাদের নিরাপদে সরানো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রত্যেকে নিরাপদে থাকুন, এই প্রার্থনা করি। কেন্দ্রীয় সরকাররে তরফে সব রকম সাহায্য করা হবে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ফণীর মতোই বিপুল বেগে রাজ্যের ছয় জেলা লন্ডভন্ড করতে পারে আমপান

আরও পড়ুন: আপনার এলাকায় এ বার কী খুলবে, কী খুলবে না, দেখে নিন বিস্তারিত

বৈঠকে এনডিআরএফ-এর জিজি জানান, উপকূলীয় এলাকায় এনডিআরএফ-এর ২৫টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। আরও ১২টি দল প্রস্তুত রয়েছে। ২৪টি দলকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্ট্যান্ডবাই থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁদের কাজে লাগানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement